চলতি মাসেই দেশের বাজারে এসেছে মটোরোলা জি=৭ পাওয়ার। নতুন এ ফোনটির বিষয়ে বাংলাদেশের মটোরোলার ন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউটর স্মার্ট টেকনোলজিস বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক সাকিব আরাফাত বলেন, ‘অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোর মধ্যে ‘‘মটোরোলা জি’’ সিরিজের স্মার্টফোনগুলোকে সবসময়ই অন্যতম ভালো ফোন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ‘মটো জি-৭ পাওয়ার’ স্মার্টফোনে এমন সব ফিচার আছে যা ফোনটি অনন্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ’
জি-৭ পাওয়ারের ৬ শক্তি
১. ফোনটিতে ৫ হাজার মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে একবার চার্জ করে ছবি তোলা, মেইল করা, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, গেমস ও মুভি দেখার পরও প্রায় তিন দিন চার্জ ব্যাকআপ পাওয়া যাবে। এছাড়া ১৫ ওয়াটের টার্বো চার্জিং সুবিধার ফলে ১৫ মিনিট চার্জে ৯ ঘণ্টা ব্যাটারি ব্যাকআপ পাওয়া যায়।
২. ডিভাইসটির পেছন দিকে এলইডি ফ্ল্যাশসহ ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা এবং সামনের দিকে ৮ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা রয়েছে। স্মার্টফোনটির রিয়ার ক্যামেরা দিয়ে ফোর-কে রেজ্যুলেশন ভিডিও করা যায়। মটোরোলার এই ফোনটি দিয়ে ছবি তুলে সেগুলো ডিএনজি ফরম্যাটে সংরক্ষণ করা সম্ভব।
৩. মটোরোলা জি-সেভেনের ডান পাশে পাওয়ার এবং ভলিউম বাটন রয়েছে। এছাড়া এর ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি আছে পেছন দিকে। ফোন হাতে ধরে থাকার সময় ওই সেন্সরটি যেন সহজেই অনুভব করা যায় সেজন্য কিছুটা ভিন্নভাবে তৈরি করা হয়েছে এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট সুবিধা।
৪. মটোরোলার এই সেটে রয়েছে এক্সক্লুসিভ শর্টকাট। এই শর্টকাট ব্যবহার করলে দ্রুত এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে আপনার পছন্দের ফিচার ও অ্যাপসগুলো একসেস করা যাবে।
৫. ডিভাইসটির নিচের দিকে একটি ইউএসবি-সি পোর্ট রয়েছে। মটোরোলা জি-৭ ইউএসবি-সি পোর্টের সাহায্যে টার্বো চার্জিং সুবিধা পাওয়া যাবে।
৬. ডিভাইসটির নেভিগেশন বার থেকে ব্যবহারকারীরা আনলক, মিডিয়া কন্ট্রোলস,স্ক্রিনশট এডিটর, থ্রি ফিঙ্গার স্ক্রিনশট, ফাস্ট ফ্ল্যাশলাইট, কুইক ক্যাপচার, পিক ডিসপ্লে, অ্যাটেনটিভ ডিসপ্লে ইত্যাদি অপশনে যেতে পারবেন।
সাদামাটা দেখতে ফোনটির মৌলিক দিক হচ্ছে এটিতে আছে ৬.২ ইঞ্চি ম্যাক্সভিশন ডিসপ্লে, ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি রম।
ফোনটির দাম ১৯,৯৯০ টাকা।
মোটো হাব, গেজেট অ্যান্ড গিয়ার, এডিসন প্লাগ ইন, রবি শপ এবং পিকাবুসহ বাংলাদেশের সব জায়গা থেকে ফোনটি সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা।
