বাঘশুমারির জন্য ২০১৫ ও ২০১৮ সালের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার আরো বড় পরিসরে ট্র্যাপিং প্রযুক্তি ব্যবহার করছে পরিবেশ ও বন বিভাগ। সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের অধীনে সুন্দরবনের চারটি রেঞ্জের ৬৬৫টি পয়েন্টে বসানো হচ্ছে দুটি করে বিশেষায়িত প্রযুক্তির ক্যামেরা। আগামী বছরের জুনে প্রকাশ করা হবে বাঘশুমারির তথ্য।
বনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বাঘ সংরক্ষণ, বাঘের সংখ্যা ও বর্তমান অবস্থা জানার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প পরিচালক এবং সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আবু নাসের মো. মোহসিন হোসেন।
তিনি জানান, সুন্দরবনের কালাবগি এলাকায় রোববার ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে বাঘ গণনার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। উদ্বোধনের পর সাতক্ষীরা রেঞ্জের হলদিবুনিয়া এলাকা থেকে ক্যামেরা স্থাপন শুরু হয়। বনের গাছের সঙ্গে মাটি থেকে ৫০ সেন্টিমিটার ওপরে ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিটি পয়েন্টে দুটি করে ক্যামেরা থাকবে ৪০ দিন। ১৫ দিন পরপর ক্যামেরার ব্যাটারি ও মেমোরি কার্ড পরিবর্তন করা হবে। বাঘ, হরিণ, শূকর বা অন্য কোনো প্রাণী ক্যামেরার সামনে দিয়ে গেলে সেই ছবি এবং ১০ সেকেন্ডের ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধারণ হবে।
বন বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাঘের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ ও বাঘ সংরক্ষণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গত ২৩ মার্চ ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত। ২০১৮ সালের জরিপ অনুযায়ী, সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। ২০১৫ সালে এ সংখ্যা ছিলো ১০৬টি। এবার গণনার পর এই সংখ্যা বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।