আগামী ৬ জুলাই গুলশানস্থ ইমানুয়েল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি’র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ১৩ সদস্যের নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ভোটে দুই প্যানেলে ১৭ জন এবং স্বতন্ত্র ৩জন সহ সাধারণ ক্যাটাগরিতে ২০জন ছাড়াও সহযোগী সদস্য ক্যাটাগরিতে ১২ জনসহ মোট ৩২জন প্রার্থী রয়েছেন।
অপরদিকে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে ভোট দেবেন ৪৪১ ভোটার। গত ২০১৫ ও ১৭ সালে ভোট দিতে না পারায় এবারের নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে মুখিয়ে আছেন তারা।
এদিকে ভোটারদের মন জয়ে তাদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীদের মধ্যে প্যানেল সদস্যদের বেশি সরব থাকতে দেখা গেছে।
কার্য নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ইতিমধ্যেই ভোটের মাঠে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে ‘টিম ক্যাটালিস্ট’। ইশতেহারে সুনির্দিষ্টভাবে কমিটি গঠনের ৯০ দিনে বাস্তবায়নযোগ্য ১০টি লক্ষ্য ও পরববর্তী ৬ মাসের ১০টি লক্ষ্য ছাড়াও শেষ ১৫ মাসের জন্য ১৭টি লক্ষ্য ঘোষণা করায় এই কমিটিটি ভোটারদেরকে চমকে দিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইশতাহারগুলির নানা চুম্বক অংশ শেয়ার করতে শুরু করেছেন ভোটাররা। সেখানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন।
‘টিম ক্যাটালিস্ট’ প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আইসিসি কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী সাইফুল ইসলাম সিদ্দিক (ব্যালট নং জি ০৫৫)। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন- ব্রাক নেট লিঃ এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আজহারুল হক চৌধুরী (জি-০২১), গ্রামীণ সাইবারনেট লিঃ এর পরিচালক মো: রুহুল আমিন সরকার (জি-০৫১),বাংলানেট টেকনোলজিস লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জোবায়ের আল মাহমুদ হোসেন (জি০১৬), ডলি আইটি কর্নার এর প্রোপাইটার মোঃ মনিরুজ্জামান মনির (জি-০৪৬), জেডএক্স অনলাইন লিঃ এর চেয়ারম্যান এস, এম, জুলফিকার হায়দার (জি-১১২), ব্রীস্ক সিস্টেম এর চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল ইসলাম (জি-০২৩) এবং চিটাগাং মাল্টি চ্যানেল লিঃ এর পরিচালক (প্রশাসন) কামরুল আলম শামীম (জি-০২৮)
অপরদিকে ভোটহীন নির্বাচনে দীর্ঘদিন নেতৃত্বে থাকা সদস্যদের সমন্বয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে ৯ সদস্যের ‘টিম ইউনাইটেড’ প্যানেল। এই প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন আম্বার আইটির প্রধান নির্বাহী আমিনুল হাকিম। অপর সদস্যরা হলেন- ইমদাদুল হক, রাশেদ আমিন বিদ্যুৎ, কামাল হোসেন, মইন উদ্দিন আহমেদ ও খন্দকার মুহাম্মদ আরিফ, জুনাইদ আহমেদ, জাহিন আনোয়ার এবং নাজমুল হক ভুঁইয়া।
জানাগেছে, ২০০২ সালে নিবন্ধিত বাণিজ্যিক সংগঠন হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর এবারের নির্বাচন হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ। কেননা গঠনের পর ২০০৭ সালে প্যানেল ভিত্তিক নির্বাচন হলেও ২০১১ সালের নির্বাচন হয় স্বতন্ত্র ভাবে। এরপর ২০১৩ সালে প্যানেল ঘোষণা করা হলেও তা আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ থাকেনি। আর ২০১৫ ও ১৭ সালের নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা হলেও ভোট হয়নি। পূর্বের কমিটিই বহাল থেকেছে। কিন্তু এবারের নির্বাচনের প্রেক্ষাপটটি ভিন্ন।
শুরু থেকেই সংগঠনের সদস্যদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে চঞ্চলতা। প্রতিশ্রুতি আর তা বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পেতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনা-কল্পনা। খুব ভেবে চিন্তে হিসাব কষছেন ভোটাররা।
মাঠ পর্যায়ের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে বদলে যেতে পারে নেতৃত্ব। অভিজ্ঞতার চেয়ে সংগঠনের সকলের প্রতি যাদের দরদ রয়েছে, প্রান্তিক পর্যায়ের আইএসপিএবি সদস্যদের কল্যাণে যারা কাজ করবেন তাদেরকেই তারা বেছে নেবেন। তারা এবার নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে চাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে আছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। নির্বাচনে তাকে সহযোগিতা করবেন এশিয়ান ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যসোসিয়েশন- অ্যাসোসিও’র সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ এইচ কাফি এবং ফিফো টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদ হোসেন।