অবৈধ আইএসপি বন্ধে কঠোর হওয়ার পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহক পর্যায়ে যেনো কোনো ভোগান্তি না হয় সেজন্য ক্যাশ সার্ভার প্রত্যাহার প্রক্রিয়াটি খতিয়ে দেখতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
এই খাতের সেবাদাতাদের সকল সঙ্কট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণে তৎপর রয়েছে কমিশন। রবিবার আইএসপিএবি কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এমন আশ্বাসের কথা জানিয়েছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার।
বৈঠক সূত্রে জানাগেছে, ক্যাশ সার্ভার প্রত্যাহার করা হলে এই সেবা দিতে আইআইজি ও নিক্স কেউই পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। তাছাড়া এই সার্ভার প্রান্তিক পর্যায় থেকে সরিয়ে নেয়া হলে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। এমন পরিস্থিতিতে অন্তত আরো এক বছর ক্যাশ সার্ভার আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেই রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই গুগল, ফেসবুক ও ইউটিউবের এই সার্ভারগুলো প্রত্যাহার না করে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি করা হয়।
কমিশন অভ্যন্তরীণ বৈঠক করে শিগগিরি এ বিষয়ে অবহিত করবে বলে আশ্বস্ত করেছে বলে জানিয়েছেন আইএসপিএবি মহাসচিব ইমদাদুল হক।
তিনি জানান, ‘এক দেশ এক রেট’ বাস্তবায়নে ইতোমধ্যেই কমিশন অবৈধ আইএসপি প্রতিষ্ঠান সনাক্তের কাজ শুরু করেছে। শিগগিরি ষাড়াশি অভিযান চালানো হবে বলেও বৈঠকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
কমিশন ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত কুমার মৈত্র, কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হুসেইন, এসএস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ এবং ইঞ্জিয়ারিং অপারেশন বিভাগের মহাপরিচালক
এহসানুল করিম এসময় বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।
অপরদিকে ব্যবসায়ীনেতাদের মধ্যে আইএসপিএবি প্রেসিডেন্ট আমিনুল হাকিম, সেক্রেটারি জেনারেল ইমদাদুল হক, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি-২ আসাদ্দুজ্জামান সুজন,পরিচালক আনোয়ারুল আজিম ও নাসির উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আইএসপিএবি কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কামাল হোসেন, মঈন উদ্দিন আহমেদ, নাজমুল করিম ভূঁইয়া, সরোয়ার আলম, আহমেদ জুনায়েদ সংযুক্ত ছিলেন।