ক্রসবর্ডার ই-কমার্স পলিসি নিয়ে কর্মশালার আয়োজন করেছে ই-ক্যাব। অংশীজনদের নিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আশুলিয়া ক্যাম্পাসে স্টেক শনিবার (১৫ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধন করেন ডব্লিও টি ও সেল এর মহাপরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব হাফিজুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব এএইচএম শফিকুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাফিজুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক আইন ও অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতার সাথে সমন্বয় করে এই বাণিজ্যমন্ত্রণালয় এরই মধ্যে ক্রস বর্ডার ই-কমার্স নিয়ে একটি নীতিমালা করেছে। এর মাধ্যমে বিদেশের বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের অনলাইন প্রবেশগম্যতা সহজ হবে।
ভোক্তা অধিকার মহাপরিচালক বলেন, আমদানী রপ্তানী বাণিজ্যের সাথে সরকারের বিভিন্ন দপ্তর সরাসরি যুক্ত রয়েছে। সকল পক্ষকে যুক্ত করে একটি যুগোপযোগী নীতিমালা তৈরী করে বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের জন্য অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করা যেতে পারে।
ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হয়ে ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, ই-ক্যাবের দৃষ্টিতে আসার পর থেকে ই-ক্যাব ক্রস বর্ডার সমস্যা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে এই খাতের ১৩টি সমস্যা চিহ্নিত করে এই বিষয়ে করনীয় সম্পর্কে সরকারকে অবহিত করেছে ই-ক্যাব।
কর্মশালায় ক্রস বর্ডার ই-কমার্সের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। এছাড়া ৪০ জন অংশগ্রহণকারীও তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। অংশ নেন দেশে বিদেশে ক্রসবর্ডার ব্যবসার সাথে জড়িত উদ্যোক্তারাও।
কর্মশালা পরিচালনা করেন আইসোশ্যাল এর সিইও অনন্য রায়হান। এসময় তাকে সহযোগিতা করেন ডেটাসেন্সের আইনান তাজরীয়ান ও ই-ক্যাবের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ফারহাত মাহজাবিন সামিরা।
প্রসঙ্গত, দেশে ই-কমার্স ব্যবসার প্রসার হলেও নানাবিধ প্রতিবন্ধকতার কারণে রপ্তানীমূখী ই-কমার্স তথা ক্রস বর্ডার ই-কমার্স প্রসার লাভ করছে না। গত এক বছরের বেশী সময় ধরে এই বিষয়টি সরকারের নজরে আনতে সক্ষম হয় ই-ক্যাব। ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে রপ্তানী ও আমদানী নির্ভর ই-কমার্সের সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডাক বিভাগ ও আইসিটি বিভাগসহ বিভিন্ন পর্যায়ে তুলে ধরা হয়। সর্বশেষ কয়েকমাস আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ক্রস বর্ডার ই-কমার্স নিয়ে একটি পলিসি তৈরীর বিষয়ে একমত হয় এবং পলিসি সংক্রান্ত খসড়া তৈরীতে একটি কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি প্রাথমিক প্রস্তাবনা তৈরীর জন্য ই-ক্যাবকে দায়িত্ব প্রদান করে। তারই ফলশ্রুতিতে প্রাথমিক গবেষণা ও খাত সংশ্লিষ্টদের মতামত নেয়ার পর এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়।