খাত সংশ্লিষ্টদের জোরালো দাবির মুখে ই-কমার্স খাতে ভ্যাট আরোপে নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে সরকার। দাবি অনুযায়ী খাতটিকে সম্পূর্ণ ভ্যাটমুক্ত রাখা না হলেও পণ্য মূল্যের পরিবর্তে ভ্যাট ভ্যালু অ্যাডেড সেবার ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ জুন) জাতীয় সংসদে পাস হওয়া অর্থবিলে এই সংশোধনী আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে ই-কমার্স ব্যাবসায়ীদের জাতীয় সংগঠন ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, সরকার আমাদের দাবি কিছুটা হলেও আমলে নিয়ছে। বিষয়টিকে আমরা আশার আলো হিসেবে বিবেচনা করছি। সরকারের প্রতি আস্থা রেখেই আমরা আশা করছি বাজেট পাশের পর নতুন এসআরও করে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে ই-ক্যামার্স খাতকে ভ্যাটমুক্তির আওতায় আনা হবে।
তিনি আরো বলেন, ই-কমার্স সেক্টরের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ই-কমার্স এ্যাসোসিয়েশন (ই-ক্যাব) অনলাইনে পণ্য ও সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান জন্য আগামী পাঁচ বছরের জন্য ভ্যাট প্রত্যাহার ও ই-কমার্স সংজ্ঞা পরিবর্তনের জন্য ইতোমধ্যে এনবিআরের কাছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আইসিটি বিভগের কয়েক দফায় আলোচনা করে এবং সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি জানিয়েছি। ই ক্যাবের দাবির সাথে সম্মতি জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও আইসিটি বিভাগ এনবিআরকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ভ্যাট প্রত্যাহারের জন্য চিঠি দিয়েছে।
ই-কমার্স খাতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ভ্যাট মওকুফ রাখার প্রস্তাব এখনো আলোচনা পর্যায়ে ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানান ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক।
আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ই ক্যাব এর প্রত্যাশা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ই কমার্সের মত সম্ভাবনাময় খাতকে নতুন এসআরও জারি করে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ভ্যাট মুক্ত রাখা। এতে করে হাজারো নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং ডিজিটাল বাণিজ্য প্রসারের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।
এখন ভ্যালু অ্যাডেড সেবার ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের ওপর কী প্রভাব ফেলবে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজেটে অনলাইন পণ্য কেনা বেচার ক্ষেত্রে ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস এর উপর ৫% ভ্যাট আরোপ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে এটি ছিল পণ্যে দামের উপর সাড়ে ৭.৫ শতাংশ। অর্থাৎ অনলাইনের মাধ্যমে যদি ১০০ টাকার একটি পণ্য কেনা হয় যেখানে ই কমার্স কোম্পানির ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস যদি হয় ৫ টাকা; তবে ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের ওই ভ্যালু অ্যাডেড মূল্যের উপর ভ্যাট দিতে হবে পাঁচ শতাংশ অর্থাৎ ০.২৫ টাকা। পূর্বের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ী এই অংকটা হতো ৭.৫ টাকা।