দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সংগঠন ই-ক্যাবের ২০২২-২৪ সালের ৪র্থ দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের ৩য় প্যানেল ঐক্য। সোমবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীর হোটেল শেরাটনে ‘আলাপচারিতা’ অনুষ্ঠানে নিজেদের ভাবনা ৮ দফা ইশতেহার তুলে ধরেন ৯ পরিচালক প্রার্থী।
ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে- সুসংগঠিত ই-ক্যাব, ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন, উদ্যোক্তা সুরক্ষা ও বিনিয়োগ, গ্রামীণ ই-কমার্স ও প্রান্তিক ডেলিভারি সেবা, ই-ট্যুরিজম ও সেবাভিত্তিক ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন, ই-কমার্স বান্ধব নীতি, নির্দেশিকা, আইন ও বিধি তৈরিতে কার্যকর ভূমিকা পালন, ক্রস বর্ডার ই-কমার্স এবং ই-কমার্সের বাজার সম্প্রসারণ।
এ সময় প্যানেল সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম (অংশীদার-ক্রাফটসম্যান সলুশন), মো. তাজুল ইসলাম (আই এক্সপ্রেস লিমিটেড), আরিফ মোহাম্মদ আব্দুস শাকুর চৌধুরী (স্কুপ ইনফোটেক লিমিটেড), মো. সেলিম শেখ (নূরতাজ ডট কম বিডি), সামদানি তাব্রীজ (র্যাপিডো ডেলিভারিস), ইঞ্জিনিয়ার তৌহিদা হায়দার রিমা (মেনসেন মিডিয়া), মো. আরিফুল ইসলাম ডিপেন (পরান বাজার) এবং ছোফায়েত মাহমুদ লিখন (কোরিয়ান মার্ট বিডি)।
প্যানেল পরিচিতি চলাকালে চেঞ্জমেকার্স প্যানেলের সদস্যরা দলবেঁধে হট্টগোল করলো এটা কেমন পরিবর্তন সেই প্রশ্নতুলে তাদেরকে একটু শান্ত থাকার আহ্বান জানান ঐক্য প্যানেলের টিম লিডার প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ। এসময় তিনি তাদেরকে ঐক্য ও সম্প্রীতির পতাকাতলে আসার আহ্বান জানান।
সহ-সঞ্চালক মোহাম্মদ সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতিক সময়ে সরকারের সঙ্গে নিবিঢ় সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে প্রতিনিধিত্বকারী বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে ই-ক্যাব উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। আগামীতে এক সাথে এই সংগঠনকে সম্প্রীতির বাঁধনে বেধে রাখতেই তারা তারুণ্য শক্তি নিয়ে ঐক্য গড়ে তুলেছেন বলে সবাইকে এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সবশেষে অগ্রগামী, চেঞ্জমেকার্স ও ঐক্য প্যানেল সদস্যরা এক মঞ্চে দক্ষ, অভিজ্ঞ, যোগ্য ও দায়িত্বশীল প্রার্থীদেরকেই ই-ক্যাবিয়ানরা বেছে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রার্থীরা। প্রার্থীরা ছাড়াও শুভানুধ্যায়ীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আরো ছিলেনন বেসিস পরিচালক আহমেদুল ইসলাম, বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেনসহ বিশিষ্টজন ই-ক্যাব ভোটাররা।
বক্তব্য রাখেন অগ্রগামী ও চেঞ্জমেকার্স প্যানেলের প্রার্থীরাও। অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠানটি একটি সম্প্রীতির মঞ্চে রূপ নেয়। অনুষ্ঠান শেষ হয় কৌতুক পরিবেশনের মাধ্যমে।