ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমরা আজ ইলিকেট্রনিক্স বা বিদ্যুতের যুগে নেই। ই-সভ্যতা থেকে অনেকটা পথ এগিয়ে এখন ডিজিটাল যুগে পৌঁছে গেছি। সেখানে স্বাভাবিক নিয়মেই ডিজিটাল ব্যাবসায়ের ডিজিটাল রূপান্তর হচ্ছে। আর এই খাতের যে চ্যালেঞ্জগুলো ছিলো তার প্রায় সবগুলোই অতিক্রান্ত হয়েছে। বড় চ্যালেঞ্জটি ছিলো পণ্য গ্রাহক পর্যায়ে নিরাপদে পৌঁছানো। ডাক অধিদপ্তরের ৪৩ হাজার কর্মীবাহিনী এবং গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত ডাক অধিদপ্তরের বিশাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সেটাও সফলজনকভাবে অতিক্রম করেছে।
শুক্রবার (১৭ মে) সকালে গুলিস্থান জিরোপয়েন্টে অবস্থিত ঢাকা জেনারেল পোস্ট অফিস মিলনায়তনে দুই দিনের ‘ই-কমার্স ডাক মেলা’র ঢাকা পর্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী আরো বলেন, পণ্য গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে ডাক বিভাগ যে চ্যালেঞ্জ নিয়েছে, তার ফলেই ডিজিটাল কমার্স আজ গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ডাক বিভাগের মতো নিবেদিত-প্রাণ কর্মী পাওয়া যাবে কি না সন্দেহ। তাই নাগরিকদের প্রয়োজন মিটিয়ে ডাক বিভাগ ডিজিটাল সেবাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, যে রুপান্তরই হোক না কেন গ্রাহকে সন্তুষ্টি ছাড়া তাৎক্ষণিক লাভে কোনো ব্যবসায় স্থায়ী রূপ লাভ করবে না। ডিজিটাল কমার্স নীতিমালায় সেই আস্থা অটুট রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন ব্যবসায় ডিজিটাল রূপান্তরের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তনের দক্ষতা করায়ত্ব করতে হবে। তাই প্রচলিত ব্যবস্থায় ডিজিটাল কমার্স চলবে না। ক্যাশ অন নয়; ক্যাশ লেস ডেলিভারিতে এই ব্যবসায় পূর্ণতা লাভ করবে।
তিনি বলেন, ব্যবসায় বাণিজ্যের ডিজিটাল রূপান্তর এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সভ্যতার বিকাশে আমরা পিছিয়ে থাকায় আমরা এতোদিন কৃষিভিত্তিক অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে বস্তুত ২০০৯ সাল থেকে আমরা ডিজিটাল সভ্যতায় যাত্রা শুরু করেছি। তাই এখন ঘরে বসেই এখন চাল-ডাল থেকে সব কিছুই পাচ্ছি। দুই বছর পর ডিজিটাল রূপান্তরহীন ব্যবসায় খুঁজে পাওয়া দুস্কর হবে।
তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল ব্যবসায় বিষয়ে ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের সচেতনতা বাড়াতে ই-ক্যাব ও ডাক বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলা অব্যাহত থাকবে। বিভাগ থেকে জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মহাপরিচালক সুধাশু শেখর ভদ্র। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দারাজ বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী সৈয়দ মোস্তাহিদল হক এবং ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।