দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সুরক্ষা এবং উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক দক্ষতার উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক প্রসারে পারস্পরিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে জাতীয় অর্থনীতিতে দেশের এসএমই উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণকে আরও বেগবান করতে যুথবদ্ধ ভাবে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন ও ই ক্যাব। এ লক্ষ্যে বুধবার (১৭ মে) বিকেলে উভয় সংগঠনের মধ্যে এক সমঝোতা চুত্তি হয়েছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান এবং ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে এই চুক্তিতে সই করেন করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের সম্মানিত চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান। এছাড়াও এতে আরও উপস্থিত ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাক ফারজানা খান, ই-ক্যাব উইমেন্স ফোরামের সভাপতি নাজনীন নাহার, সহ সভাপতি জেরিন মারজান খানসহ এসএমই ফাউন্ডেশন ও ই-ক্যাবের কর্মকর্তাবৃন্দ।
চুক্তি প্রসঙ্গে ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ই-কমার্সে আমাদের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ ক্রমবর্ধমান এবং সারাদেশে কেবল ই-কমার্সের সাথেই যুক্ত আছেন ৩ লাখ উদ্যোক্তা। জাতীয় অর্থনীতিতে এদের অবদান নেহায়েতই কম নয়। তাদের এই অবদানকে আরও বেগবান করতে এবং বিভিন্ন পর্যায়ে তাঁদেরকে তথ্যপ্রযুক্তি তথা ডিজিটাল লিটারেসি এবং ফিনান্সিয়াল লিটারেসি বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে এবং দেশ-বিদেশে তাঁদের ব্যবসার প্রসারে এখন থেকে একসাথে কাজ করবে এসএমই ফাউন্ডেশন ও ই-ক্যাব। এতে করে তৃণমূল পর্যায়ে নারী উদ্যোক্তাদের ই-কমার্সের সাথে সংযুক্ত করাটা সহজ হবে।
বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনেরর চেয়ারম্যান ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, দেশের মোট কর্মক্ষম নারী জনগোষ্ঠীর মধ্যে বর্তমানে ৩২% নারী-ই জাতীয় অর্থনীতির সাথে সংযুক্ত। অপরদিকে তথ্যপ্রযুক্তি উৎকর্ষতায় সৃষ্টি হচ্ছে উন্নয়নের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা। এই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে হবে। কর্মক্ষম নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তিসহ অন্যান্য বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে হবে, যাতে করে উন্নয়নের এই সোপানে তাঁরাও সহযাত্রী হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার কর্মকান্ডের অংশীদার হতে পারেন। এই চুক্তির সফলতায় আমরা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদী কর্ম-পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ করব।
এসএমই ফাউন্ডেশন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, দেশের উদ্যোক্তাদের ডিজিটাল বিজনেসের সাথে সংযুক্ত করতে এবং তাঁদের স্বার্থ সংরক্ষণই-ক্যাব অনেকদিন ধরে কাজ করছে। আমরাও সারাদেশে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, বাজার প্রসার, অর্থনৈতিক দক্ষতা উন্নয়নসহ ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করছি।এই চুক্তির মাধ্যমে আমাদের এই কাজগুলোই এখনো আরও বেগমান হবে। সে সাথে তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোক্তাদের তথ্যপ্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ততা আরও বাড়বে। এর ফলে তাঁরা প্রযুক্তি দক্ষতায় সমৃ্দ্ধ হয়ে ব্যবসায়িকভাবে এগিয়ে যাবে।