গান, নৃত্য আর বাঁশির সুর মুর্চ্ছনায় দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্ভাবনীমূলক পণ্য ও সেবা প্রকল্পগুলোর স্বীকৃতি দিলো প্রযুক্তি খাতের বাণিজ্যিক সংগঠন বেসিস। এ বছর ৮ ক্যাটাগরির ৩৬টি সাব-ক্যাটাগরিতে ৬৮ প্রতিষ্ঠানকে ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে সংগঠনটি। ক্লাউড ভিত্তিক জাজিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে ২১টি চ্যাম্পিয়ন ও ২০টি প্রতিষ্ঠান জিতেছে উইনার ক্রেস্ট।
তিন পর্বে দেয়া পুরস্কার বিতরণ শুরু হয় কঞ্জুমার ইনক্লুশন অ্যান্ড কমিউনিটি ক্যাটাগরি থেকে। এই বিভাগে ইন্সুরেন্স ও ফাইন্যান্স উপ বিভাগ থেকে বিকাশের সেভিংস প্রোডাক্টস; ডিজিটাল মার্কেটিং ও অ্যাডভাইজিং উপ-বিভাগে অথল্যাবের ফ্লুয়েন্ট সিআরএম; স্মার্ট হোম ট্রাঞ্জেকশন বিভাগে ইফলি’র ইনক বে প্রোডাক্ট পার্সোনালাইজার; মিডিয়া অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট উপ-বিভাগে কন্টেন্ট ম্যাটার্স লিমিটেডের র্যাবিট হোল; রিটেইল অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সাব-ক্যাটাগরিতে এসএসএল ওয়্যারলেসের ইজি মার্চেন্ট অ্যাপ; ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিতে এমথ্রি৬০ আইসিটি’র ট্রাবিল; ইনক্লুশন অ্যান্ড কমিউনিটি ক্যাটাগরিতে ‘প্রবাসবন্ধু’ অ্যাপস; শিক্ষায় সহপাঠী; স্বাস্থ্যে আইএমসিআই অ্যাপ্লিকেশন এবং পরিবেশে ড. চাষী চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
এছাড়াও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাটাগরির কৃষি উপ বিভাগে ইক্যুইলিব্রিয়াম ও টেকসই পরিবেশের জন্য প্রোটেক্টো স্মার্ট ইউভি ডিস ইনফেকশন ডিভাইস চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
এবারে বিজনেস সার্ভিস ক্যাটাগরিতে ফিনটেক উপ-বিভাগে ইনস্টাসিওর; আইসিটি সার্ভিস সল্যুশনে সিনার্জি, পেশাদারী সেবায় কেইসট্র্যাক এবং নিরাপত্তা সল্যুশনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিমলেক্স ভিপিএন জিতে নিয়েছেন চ্যাম্পিয়নের মুকুট।
অপরদিকে পাবলিক সেক্টর অ্যান্ড গভর্নমেন্ট ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ‘বিনিময়’ এবং নাগরিক সেবায় কোভিড ১৯ টেলিহেলথ সেন্টার।
শেষ ধাপে স্টুডেন্ট ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়র ট্রফি গ্রহণ করে ব্লাড ব্যাংক। ক্রসটেক থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অ্যান্ড সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলিজি’র বিশেষ ভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য মুঠোফোনে নোজ-টিথ বেজড ইন্ট্যারকশন সল্যুশন ও টেকনোলজি। আর স্টার্টআপ উপ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এনার্জি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। তবে টেকনোলজি ক্যাটাগরি থেকে কোন প্রতিষ্ঠানই চ্যাম্পিয়ন হয়নি।
৩১ অক্টোবর রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এই অ্যাওয়ার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এর সভাপতিত্বে বিচারকদের উপস্থিতিতে বিজয়ীদের হাতে সম্মাননা স্বারক তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, এফবিসিসিআই সভাপত মো. জসিম উদ্দিন,বেসিস ন্যাশনাল আইসিটি অ্যাওয়ার্ডসের প্রধান বিচারক আব্দুল্লাহ এইচ কাফি, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ, এটুআই প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মুহাম্মাদ হুমায়ুন, উপ-প্রধান বিচারক শাহ্ ইমরাউল কায়ীশ; আহবায়ক এম রাশিদুল হাসান এবং যুগ্ম-আহবায়ক লিয়াকত হোসেন।
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যাওয়ার্ড (এপিকটা)-২০২২ এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে এবারের চ্যাম্পিয়নরা। ভিডিও বার্তায় বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।