ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ‘বেসিসের সূচনালগ্নে আমাদের চিন্তা ছিল কিভাবে বাংলাদেশ থেকে সফটওয়্যার রপ্তানি করা যায়। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথে বেসিসের অবদান অনস্বীকার্য।’
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখেছেন তা বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ লক্ষ্যে বেসিসও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশিদার।’
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ (২০১৮-২০) এর অভিষেক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
রবিবার রাতে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা (আইসিসিবি) এর গুলনকশা মিলনায়নে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘বেসিসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে এ সংগঠনের প্রতিটি ধাপের সাথেই আমি যুক্ত ছিলাম, এখনো আছি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সদস্যদের সংগঠন হিসেবে সবসময় এ খাতের উন্নয়নের সদস্যরা আপোসহীনভাবে সব কাজ করে এসেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উন্নয়নে বেসিস এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে যা সবার জন্যে গর্ব করার মতো। আমি বেসিসের সদস্য হিসেবে গর্বিত ‘
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সবসময় বেসিসের পাশে ছিল, থাকবে। আমি নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করছি।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বেসিসের নবনির্বাচিত সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। এরপর, বিদায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদ, বেসিস নির্বাচন বোর্ড ও আপীল বোর্ডকে তাদের অবদানের জন্য শুভেচ্ছা ক্রেস্ট তুলে দেন অতিথিরা। একইসাথে, নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদকে শপথ পাঠ করান বেসিসের প্রাক্তন সভাপতি ও নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এস এম কামাল।
তারপর বেসিসের ২০১৬-১৮ মেয়াদের সভাপতি হিসেবে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, নব-নির্বাচিত সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের হাতে বেসিসের পতাকা তুলে দেন। একইসাথে নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদকে বরণ করা হয়।
সবশেষে বিদায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ বক্তব্য জ্ঞাপন করেন বিদায়ী বেসিস পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বেসিসের নবনির্বাচিত জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান, পরিচালক- তামজিদ সিদ্দিক স্পন্দন, দিদারুল আলম, লুনা শামসুদ্দোহা, মোস্তফা রফিকুল ইসলাম।
বিদায়ী কার্যনির্বাহী পরিষদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, বিদায়ী সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, বিদায়ী পরিচালক উত্তম কুমার পাল, পরিচালক সোনিয়া বশীর কবির ও পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ফারুক।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ ২০১৮-২০ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।