ই-ভোটে প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর অনুষ্ঠিত হোক নতুন কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনের পক্ষে রায় দিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ৪৫৯ জন সদস্য। আর এখনই ২০২৪-২৬ মেয়াদে নির্বাচিত পুরো কার্যনির্বাহী কমিটির পদত্যাগের পক্ষে রায় দিয়েছেন ১৩৫ জন।
উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সংগঠনের ওয়েবসাইটে খোলা চিঠিতে মতামত গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী এই ইলেক্টোরাল ভোটে অংশ নিয়েছেন ২৬৪৭ সদস্যের মধ্যে ৫৯৪ জন সদস্য। ভোট পড়ার হিসেবে মোট ২২ দশমিক ৪০ শতাংশ ভোটের মতামত দিয়েছেন।
অবশ্য গত ২৩ অক্টোবর প্রকাশিত এই ভোটের ফলে দেখা গেছে, ৫ দফা সংস্কারমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমান কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে সম্পাদনের পক্ষে রায় দিয়েছেন ৭৭ দশমিক ২৭ শতাংশ বেসিস সদস্য। বিপরীতে দেন ২২ দশমিক ৭২ শতাংশ সদস্য। সেই হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠের রায়ের ভিত্তিতে আগে সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন প্রক্রিয়া এগুচ্ছে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি। তবে সূত্রমতে, এসবের আগেই বর্তমান কমিটির কয়েকটি পদে আসছে পরিবর্তন। যারা আগের সরকারের সময়ে দলীয় সংশ্লিষ্টতায় অভিযুক্ত তারা বাদ পড়তে পারেন। যুক্ত হতে পারেন নতুন মুখ।
প্রসঙ্গত, জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা গণঅভ্যূত্থানের পর তৎকালীর সরকার ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে শুরুতে দেশের সংস্কারের দাবিতে অফিস ঘেরাও সহ দফায় দফায় নানা আন্দোলন হয়েছে। শুরুতে সভাপতির পদত্যাগের দাবি উঠলেও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগের পর পুরো কার্যনির্বাহী কমিটিরই পদত্যাগের আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিলো জাতীয় প্রেসক্লাবের একটির সংবাদ সম্মেলনে।
সেই আল্টিমেটামের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ সদস্যদের কাছে বেসিস কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, ২০ অক্টোবর বেসিসকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী পরিষদের (২০২৪-২৬) পক্ষ থেকে পাঁচটি প্রধান সংস্কারমূলক কার্যক্রমের একটি রূপরেখাসহ বেসিসের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনাদের কাছে মতামত জানতে চাওয়া হয়েছিল। ৪৮ ঘণ্টার নোটিশে অটোমেটেড ইলেকট্রনিক ভোটিং প্রক্রিয়ায় ৫৯৪ জন বেসিস মেম্বার ভোট দেন। তবে বিপক্ষ দল ভোট বর্জন করেন বলে দাবি করেন। অবশ্য ফলাফল প্রকাশের পর এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের পক্ষ থেকে এই ফল নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।