সংস্কারের দাবিতে রাজধানীর কাওরান বাজারের বেসিস কার্যালয় অবরুদ্ধ করেছে বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে ৩০-৪০ জনের মতো শিক্ষার্থী বেসিস কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এসময় তারা বেসিস প্রেসিডেন্ট এর সঙ্গে দেখা করতে চায় এবং হৈচৈ শুরু করে।
এতে অফিসে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেখানকার নারী কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। জানাগেছে, বিকেল সাড়ে তিনটার যখন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বেসিস কার্যালয়ে প্রবেশ করে তখন এক্সেস টু ফাইন্যান্স কমিটির রেগুলার প্রোগ্রামের গেস্ট বেশ কয়েকজন বেসিস সদস্য, ৩ জন ইসি সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন দুইজন জাইকা প্রতিনিধি। দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত ছিলেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
আকষ্মিক ঘটনায় কিংকর্তব্য বিমুঢ় হয়ে পড়ে বেসিস সচিবালয়ের সকল সদস্য। এসময় বেসিস সিনিয়র সহ সভাপতি এম রাশিদুল হাসান এবং সহ সভাপতি (প্রশাসন) সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বেরিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জাইকা প্রতিনিধি এবং মেয়ে কর্মীদের অফিস ত্যাগের ব্যবস্থা করেন। এসময় আন্দোলনকারীরা বেসিস সভাপতির সঙ্গে দেখা করার দাবি জানান।
এ ঘঠনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বেসস সহ-সভাপতি (অর্থ) ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান বলেন, বেসিস একটি সংগঠন , যা স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে ইসি প্রতিনিধি নির্বাচিত করে । সেই ধারাবাহিকতায় বেসিস গত মে মাসে নতুন ইসি পায়। মেম্বার সদস্য কোম্পানিকে ইসি জবাবদিহিতা করে । মেম্বার ছাড়া বহিরাগতরা বেসিস ইসির পদতেগ চাওয়া আইনসম্মত না । বেসিস অফিস এ মেম্বার, স্টাফ, ইসি, জাইকার প্রতিনিধিদের আটকে রেখে এই ধরনের কার্যক্রম এর নিন্দা জানাই।
রাত ৯টা পর্যন্ত ছাত্ররা বেসিস অফিসেই অবস্থান করছিলো। তবে তাদের কারো সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়নি। অপু, দীপু নামে তাদের ডাকতে শোনা গেছে। তারা ‘যার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে সে কিভাবে বেসিস‘র নেতৃত্বে থাকে’ সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। পরিস্থিতি অবনতির দিকে গেলে সেখানে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।