একাদশ বার্ষিক সাধারণসভার সঙ্গে শনিবার ঢাকা মহানগরসংলগ্ন পূর্বাচলের উলুখোলা উপ-শহরে বার্ষিক বনভোজন করলো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্ট্যাক্ট সেন্টার (বাক্কো)। শনিবার সকালে স্থানীয় সিক্লাব রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড কনভেশন হলে প্রথমে অনুষ্ঠিত হয় বার্ষিক সাধারণ সভা। বাক্কো সভাপতি ওয়াহিদ শরীফের সভাপতিত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ১১০টি সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এই সভায় অংশ নেন।
বাক্কো সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন সদস্যদের থেকে দশম বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণীর অনুমোদন গ্রহণ করেন এবং বিগত বছরের বাক্কোর সব কার্যক্রম, অগ্রগতির প্রতিবেদন, বিপিও শিল্পের উন্নয়নের জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত সম্ভাব্য কার্যক্রমে উপস্থিত সবাই সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
সংগঠনের অর্থ সম্পাদক আমিনুল হক ২০২১-২০২২ অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন সদস্যদের সামনে উপস্থাপন করেন। সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং সব ধরনের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আবুল খায়ের।
সভা শেষে শুরু হয় পিকনিকের আনুষ্ঠানিকতা। ক্রিকেট আর ফুটবল ম্যাচ প্রতিযোগিতা শেষে ক্লন্ত শরীর চাঙ্গা করতে কেউ ছুটেন সুমিং পুলে। পানিতে গা ভাসিয়ে আর সাঁতার কেটে ফেলে আসা সময় রোমন্থন করেন কেউ কেউ। পরিবারের খুদে সদস্যরা বসে পড়েন অঙ্কন প্রতিযোগিতায়।
বুফে লাঞ্চ শেষে হাড়ি ভাঙ্গা খেলায় মজে উঠেন পরিবারের নারী সদস্যরা। যুবকদের বস্তাবন্দী দৌড় শেষে ফের
নারীরা মেতে ওঠেন বালিশ চালাচালি খেলায়। মাঠের পাশে ছিলো বায়োস্কপে বাক্স। যেখানে চোখ রেখে অতীতে ফিরেছেন বয়সীরা, আর অগ্রজদের অতীত নিয়ে কৌতুহল প্রকাশ করেন নবীনেরা। তবে চা-কফির পাশাপাশি সবাই বেশ উপভোগ করেন ঐতিহ্যের পিঠা-জিলাপি-ফুস্কা।
খেলাপর্ব শেষে প্রতিযোগিতা ও লটারী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম। এসময় হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের জ্যেষ্ঠ সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ, স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল,বিআইজেএফ সভাপতি নাজনীন নাহার, টিএমজিবি সভাপতি মোহাম্মাদ কাউছার উদ্দীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব বাক্কো স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রজের ভূমিকা পালন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আর উপর দিয়ে কিচ্ছুক্ষণ পরপর পাখির চোখে পুরো আয়োজন গিলে খেতে থাকে ড্রোন। যেনো বার বার বলে যায়, এই অতীতের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে স্মার্ট বাংলাদেশকে; যেভাবে সবাই মজা করে উপভোগ করেন দিল্লী কা লাড্ডু।