সহজে বহন করা যায় বলে অনেকেই কম্পিউটারের চেয়ে ল্যাপটপকে বেশি পছন্দ করেন। কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী ল্যাপটপ কিনতে গিয়ে পড়তে হয় সমস্যায়। বাজারের এতো ল্যাপটপের ভিড়ে কোনটা রেখে যে কোনটা কিনবেন বুঝেই উঠতে পারেন না।
সাধারণত একেক ল্যাপটপ একেক কাজের জন্য পারদর্শী হয়। তাই বুঝে শুনে ল্যাপটপ কেনাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। যেমন- যারা ল্যাপটপে গেম খেলে তাদের জন্য হাই-অ্যান্ড ল্যাপটপ বেশ উপযোগী। এ ক্ষেত্রে গেমিং ল্যাপটপ কেনার আগে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
প্রসেসর
প্রসেসর হচ্ছে কম্পিউটারের প্রাণ। দুর্বল প্রসেসর দিয়ে কখনোই ভালো গেমিং অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে না। এজন্য গেমিং ল্যাপটপ কেনার সময় সর্বশেষ প্রজন্মের ভালো গতির প্রসেসর নির্বাচন করতে হবে। কমপক্ষে কোর আই-৫ নির্বাচন করুন।
র্যাম
প্রসেসরের পর কম্পিউটারের গতি অনেকাংশে র্যামের ওপর নির্ভর করে। ৪ গিগাবাইটের র্যাম সাধারণ কাজের জন্য ব্যবহৃত হলেও গেম খেলার জন্য কমপক্ষে ৮ গিগাবাইটের র্যাম প্রয়োজন। সম্প্রতি বাজারে ১৬ ও ৩২ গিগাবাইট র্যামের ল্যাপটপও পাওয়া যাচ্ছে।
গ্রাফিক্স
সাধারণ কাজের জন্য গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ) তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে গেমিং ল্যাপটপের ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অনেক। ভালো মানের গেমগুলো খেলার জন্য বাজেট অনুযায়ী এনভিডিয়া, এএমডি, আরটিএক্স ব্র্যান্ডের গ্রাফিক্স সমৃদ্ধ ল্যাপটপ বাছাই করতে হবে।