২২শে অগাস্ট থেকে ফেসবুকে যে গ্রুপ চ্যাট সেবা ছিল, সেটি আর ব্যবহার করা যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর ১৮ই অগাস্ট থেকেই ইতিমধ্যে ম্যাসেঞ্জারে নতুন করে চ্যাট গ্রুপ শুরু করার সেবা বন্ধ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।
কিন্তু বিষয়টি নিয়ে ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন জেগেছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলোর উত্তর।
‘চ্যাট ফর গ্রুপস’ বলতে এমন একটি সেবাকে বোঝানো হয়েছে যার মাধ্যমে এক গ্রুপের সদস্যরা একে অন্যের সাথে বার্তা আদান-প্রদান করতে পারেন। গত এক বছর যাবৎ গ্রুপগুলোর সদস্যরা নিজেদের মধ্যে চ্যাট করতে পারতেন।
ফেসবুকের ভাষ্য, ফেসবুক তাদের সেবা ব্যবহারকারীদের ‘রিয়েল টাইম’ বা তাৎক্ষণিক যোগাযোগের উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আর এই জন্যই চ্যাট অপশনটি চালু করেছিল ফেসবুক। কিন্তু তাদের বর্তমান অবকাঠামোর সাথে গ্রুপ চ্যাটের বিষয়টি সরাসরি মানানসই নয়।
এক বিবৃতিতে ফেসবুক জানিয়েছে, তারা নতুন কোন পথ খুঁজছেন। গ্রুপ সদস্যদের মধ্যে আমরা রিয়েল টাইম যোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে নতুন উপায়গুলো নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত এখনি প্রকাশ করছি না বলছে ফেসবুক।
আগের ম্যাসেজগুলোর কী হবে? ২২শে অগাস্টের পর ফেসবুক গ্রুপ চ্যাটের সদস্যরা একে একে ‘গ্রুপ ত্যাগ করছে’ বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আসলে ওই গ্রুপটি ‘আর্কাইভ’ হয়ে যাবে বলে ফেসবুক ঘোষণা দিয়েছে।
গ্রুপ চ্যাট বন্ধ হলেও ম্যাসেঞ্জারে সার্চ করে আগের সকল কথপোকথন দেখা যাবে। সেখানে হয় গ্রুপ চ্যাটের নাম অথবা ওই গ্রুপের একজন সদস্যের নাম লিখে সার্চ করতে হবে। তবে ফেসবুক বলছে, তারা নতুন করে সেখানে কাউকে যোগ করতে বা নতুন বার্তা পাঠাতে পারবেন না।
বন্ধুদের সাথে ফেসবুকে গ্রুপ চ্যাট করা যাবে। বন্ধুদের মধ্যে মেসেঞ্জারেও গ্রুপ চ্যাট করতে কোন সমস্যা হবে না। গ্রুপের কারো সাথে ফেসবুকে বা ম্যাসেঞ্জারে সংযুক্ত থাকলে, নিজেদের মধ্যে আলাদাভাবে চ্যাট গ্রুপ খুলে বার্তা আদান-প্রদান করা যাবে বলে ফেসবুক জানিয়েছে। শুধু কোন ফেসবুক গ্রপের সাথে সংযুক্ত না থাকলেই হলো।
তবে অনেক ফেসবুক গ্রপের অ্যাডমিনরা দাবি করছেন, ফেসবুকের এমন সিদ্ধান্তের ফলে তারা বেশ বিপদে পড়তে যাচ্ছেন।