২০১১ সালে হটাৎ করেই অ্যাপলের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রয়াত স্টিভ জবস কিউপারটিনো সিটি কাউন্সিলের সামনে উপস্থিত হন নতুন এক ভবনের আর্কিটেকচুয়াল ডিজাইন দেখানোর জন্য। সেখানে একটি গোলাকার ভবন দেখানো হয়, যেটি দেখতে স্পেসশিপের মতো। স্টিভ জবসও তখন এটি দেখতে স্পেসশীপের মতো বলে স্বীকার করেছিলেন।
২০০৬ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান বিশেষ করে এইচপির কাছ থেকে প্রায় ১৮০ একর জমি কিনেছিলো অ্যাপ। সেখানেই তৈরি করা হয় চারতলার সমান ভবনটি। একসাথে যাতে ১২ হাজার কর্মী কাজ করতে পারে সেভাবে এই প্রধান কার্যালয়টি ডিজাইন করেন জনপ্রিয় আর্কিটেক্ট স্যার নরমান ফস্টার।
ভবনের জানালাগুলো বাঁকানো, যা ভবনটিতে একটি ডোমের মতো রূপ দিয়েছে। সেই সময়ে স্টিভ জবস বলেছিলেন, আমাদের এমন একটি ভবন থাকবে যেটি হবে বিশ্বের সেরা অফিস ভবন। আমি সত্যিই ভাবি এখানে আর্কিটেক্টের শিক্ষার্থীরা ভবনটি দেখতে আসবে।
স্টিভ জবসের সেই কাঙ্খিত অ্যাপল পার্কটি সত্যিই অসাধারণ একটি ভবনে রূপ নিয়েছে। সেখানে অ্যাপলের নতুন, বর্তমান এবং আগামীর প্রযুক্তিগুলোকে তুলে ধরা হয়। টিম কুক এই ভবনটির সবখানেই স্টিভ জবসকে উৎসর্গ করে ফুটিয়ে তুলেছেন।
সম্প্রতি প্রকাশিত এক তথ্যমতে, অ্যাপল পার্ক প্রধান কার্যালয়টি তৈরি ও বর্তমান রূপে আনতে ৪.১৭ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। যদিও এটি শেষ করতে ৫ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে বলে ধারণা করা হয়েছিলো। উইকিপিডিয়ার এন্ট্রিতে দেখা গেছে এটি বিশ্বের ব্যয়বহুল ভবনগুলোর শীর্ষ ৬-এ অবস্থান করছে।
ডিবিটেক/বিএমটি