আগামী ১৭ থেকে ২১শে জুলাই যুক্তরাজ্যের নর্থ হ্যাম্পটনশায়ারের সিলভার স্টোন সার্কিটে অনুষ্ঠিত হবে ২১তম আইমেকই আয়োজিত ‘ফর্মুলা স্টুডেন্ট’ রেসিং কার প্রতিযোগিতা। বিশ্বব্যাপী যন্ত্র প্রকৌশলীদের সংস্থা- ‘আইমেকই’ আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় নিজেদের তৈরি রেসিং কার নিয়ে অংশ নিচ্ছে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
দেশ থেকে আন্তর্জাতিক এ আসরের টিকেট পেয়েও আর্থিক সংকটে চূড়ান্ত দৌড়ে অংশগ্রহণে অনিশ্চয়তায় পড়েছে সার্কিট দাবড়ে বেড়ানো দারুণ গতির বাংলাদেশী রেসিং কার ‘এমএইচকে ১৯’। এখন ৩০ লাখ টাকার সংস্থান না হলে গালে হাত দিয়ে কেবল মুগ্ধ দর্শকের কাতারেই থাকতে হবে দেশের তরুণ উদ্ভাবকদের।
এ বিষয়ে ফর্মুলা রেসের আদলে তৈরি ‘এমএইচকে ১৯’ রেসিং কারের কারিগর দল ‘টিম প্রাইমাস’ দলের অন্যতম পরামর্শক আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খোরশেদুজ্জামান ডিজি বাংলাকে বলেন, অনেক কষ্টে সৃষ্টে নিজেদের জমানো অর্থে দেশী প্রযুক্তিতে দারুণ গতির জ্বালানী সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব গাড়িটি বানিয়েছে আমাদের ২৯জন শিক্ষার্থী। গড়িটিতে ৪ সেকেন্ডের মধ্যেই ০ থেকে ১০০ কিলো স্পিড ওঠে। ২৬০ কেজি ওজনের এই গাড়িটি ঘণ্টায় ৩০০ কিলো গতিতে চলতে সক্ষম। ৬০০ সিসির ইঞ্জিন থাকলেও এটিতে বিদ্যমান গাড়ীর তুলনায় ৩০ শতাংশ জ্বালানী খরচ কম হয়।
তিনি বলেন, গাড়িটি যুক্তরাজ্যে পাঠাতে খরচ পড়বে ১৫ লাখ টাকার মতো। প্রতিযোগিদের যেতে খরচ হবে আরো ১৫ লাখ টাকার মতো। এই ৩০ লাখ টাকাটা হলেই আমরা এখন আইমেক রেসিং-এ যেতে পারি। এ নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে আলপ করলেও আর্থিক বছর শেষ হওয়ায় এখনো ব্যাটেবলে মেলেনি। হাতে সময়ও নেই একদম।
প্রতিযোগিতা বিষয়ে টিম প্রিমাসের লিডার এন্টনি বিধান বিশ্বাস বলেন, ‘ওখানে আমাদের ২২ কিলোমিটার চালিয়ে দেখাতে হবে। ইতিমধ্যেই আমরা গড়ির এক্সিলারেশন, স্পিড, ব্রেক যাচাই করে দেখেছি এটি সাসটেইনেবল এবং রেসিংয়ে ভালো ফল বয়ে আনতে সক্ষম।’
তিনি বলেন, প্রতিযোগিতায় অংশি নিতে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঋণ করে আজ রাতেই (৭ জুলাই) আমরা গাড়িটি শিপমেন্টে দিচ্ছি। যদিও এখনো আমাদের ভিসা হয়নি। তিন সপ্তাহ আগে আবেদন করেছি। এখন যাওয়ার টাকাটা যোগাড় করতে হবে। তারপরও আমরা হতাশ নই। আশাবাদী।
বিধান আরো বলেন, ‘এটা শুধু আমাদের জন্য সুযোগ তা নয়, অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিজের সঙ্গে এত বড় একটা প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে আমরা রিপ্রেজেন্ট করতে যাচ্ছি। তাই, অনুরোধ বাংলাদেশের যতগুলো বড় বড় প্রাইভেট কোম্পানি আছে তারা যেন আমাদের হেল্প করে।’
প্রসঙ্গত, এবারের আসরে ৩০টি দেশের ১২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন।