রাজধানী ঢাকার পর আগামী বছরের শুরু থেকে দেশজুড়েই আর ভূমি অফিসগুলোতে নগদ টাকা লেনদেন হবে না। ভূমি কর আদায় করতে আর ভূমি অফিসে ছোটাছুটি করতে হবে না সেবাপ্রার্থীদের। কেননা, অনলাইনে খাজনা ও ই-নামজারির পর কর আদায়ের এই পুরো পদ্ধতিটিই চলে আসছে অনলাইনে।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে রাজধানী ঢাকা মহানগরীর সব জমির কর আদায় চলে এসেছে অনলাইনের আওতায়। পরবর্তী ধাপে এই সেবার কার্যক্রম সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। অবশ্য পার্বত্য তিন জেলা বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে এ সেবা পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।
এ নিয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা চাচ্ছি ক্যাশলেস বিষয়টি যাতে মেইনটেইন হয় এবং মানুষ ইনস্ট্যান্ট যা যা পাওয়ার তা যাতে পেয়ে যায়। আমরা এলডি ট্যাক্সের বিষয় ঠিক করে ফেলেছি। আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বরের পর কোনো এলডি ট্যাক্স আর ম্যানুয়ালি নেয়া হবে না। যেমন: আমরা ই-মিউটেশনের বিষয়ে বলছি, নো ম্যানুয়াল। কাট অফ টাইম পার হয়ে গেছে এখন সব অনলাইনে ই-মিউটেশনের ক্ষেত্রে। এলডি ট্যাক্সের বিষয়েও আমরা একটি কাট অফ টাইম দিয়েছি। কেউ যদি এটা চায় ম্যানুয়ালি আর হবে না। অনলাইনে মাস্ট করতে হবে। বাই ডিসেম্বর ইট উইল বি ডান। আমরা সারা দেশে এটা করছি।’
এজন্য ভূমি মন্ত্রাণয়ের সার্ভারের ধারণক্ষমতা বাড়ানো এবং বিদ্যমান জটিলতাগুলো ঠিক করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। অনলাইনে এ সেবা পেতে প্রথমে সেবাপ্রার্থীকে এই অ্যাপের সঙ্গে নিজেকে নিবন্ধন করতে হবে। ওয়েবসাইট ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের কল সেন্টারের মাধ্যমেও এ নিবন্ধন করা যায়।
এজন্য প্রথমে ভূমি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট অথবা ভূমিকর প্রদানের লিংকে প্রবেশ করে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম তারিখ ও মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের কল সেন্টার ৩৩৩ অথবা ১৬১২২ নম্বরে ফোন করে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, ফোন নম্বর ও জমির তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে।
এ ছাড়া যেকোনো ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসে এনআইডি কার্ড, জন্ম তারিখ ও খতিয়ান নম্বর ব্যবহার করেও নিবন্ধন করা যাবে।
নিবন্ধনের পর এই পোর্টালে লগইন করে অথবা ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসে গিয়ে ভূমির উন্নয়ন কর দিতে পারবেন। এই সময় বিকাশ বা নগদের মতো মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করে কর পরিশোধ করা যাবে।
কর দেয়ার পর ই-মেইলে অটোমেটিক একটি জমার রসিদ চলে আসবে। এটিই ভূমি উন্নয়ন করের রসিদ, যা পরবর্তী প্রয়োজনের জন্য সংরক্ষণ করা যাবে।