শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেবাদাতা বদলের পর প্রস্তুতিটা ছিলো বেশ জোরালো। যথারীতি স্বাধীনতা দিবসে নিজেদের ডোমেইন থেকেই অনলাইনে টিকিট কাটার সুযোগ উন্মোচন করে রেল কর্তৃপক্ষ। অনলাইন টিকেটে দেশ সেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সহজ ডট কমের ব্যবস্থাপনায় সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় অনলাইনে টিকিট বিক্রির কাজ। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই বাধে বিপত্তি। প্রথম দিনের প্রথম ঘণ্টাতেই ওটিপি, ওয়েবসাইট লোডিং ও সার্ভারে সংযুক্ত হতে বিপাকে পড়েন গ্রাহক। এরপর থেকেই এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্তও বিকল ছিলো ওয়েব সাইটটি।
এসময় বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে এখনো সেখানে আগের সেবাদাতার তৈরি ‘রেলসেবা অ্যাপ’ থেকে কিভাবে টিকিট কাটতে হবে তার ভিডিও দেখানো হচ্ছে। যদিও রেলের টিকিট কাটার জন্য এখনো কোনো অ্যাপ উন্মুক্ত করা হয়নি। এক সপ্তাহ বিরতির পর কেবল ওয়েবসাইট থেকে বিক্রি শুরু করেছে। তবে নতুন যাত্রায় শুরুতেই হোঁচট খেয়ে সোশ্যাল মিডিয়া গুলো গরম করছেন ভুক্তভোগীরা।
মূলতঃ শনিবার সকাল সোয় ৯টার দিকেই ডাউন হয় রেলেরই-টিকিটের ওয়েবসাইট। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা পরেও ওয়েবসাইটটি সচল না হওয়া প্রসঙ্গে সহজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করলে জানা যায়, অনলাইনে বরাদ্দকৃত ৪৫ হাজার টিকিটের বিপরীতে বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত মিনিটে ২২ লাখ হিট হয়েছে সার্ভারে। আর এই হিটের সিংহভাগই হয়েছে দেশের বাইরের ডোমেইন থেকে। অপ্রাত্যাশিত এই ‘ডিডস’ সাইবার দুবৃত্তপনা ঠেকাতে এখন কাজ করছে ডেভলপাররা। আগামী কাল সোমবারের মধ্যে ফের সচল হওয়ার প্রত্যাশা তাদের।
জানাগেছে, সিএনএস থেকে সেবাটি সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’র যৌথ উদ্যোগে মাত্র ২১ কর্মদিবসে নতুন করে টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনার সফটওয়্যারটি প্রস্তুত হয়ে যায়। সবশেষে ২৫ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় ৭৭টি রেলওয়ে টিকিট কাউন্টার অনলাইনে সংযুক্ত করায় সফল হয় সহজ কর্তৃপক্ষ। রাত ১২টার মধ্যে কাউন্টারগুলো থেকে ডিজিটালি বিক্রি হয় ৪১ হাজার টিকিট।
এ বিষয়ে সহজ ডট কমের গণমাধ্যম মুখপাত্র ডিজিবাংলাকে জানিয়েছেন, সাইট চালুর পরই মিনিটে ২২ লাখ হিট হওয়াটা অপ্রাত্যাশিত। বড় কথা হলো এর মধ্যে বেশির ভাগ হিট হয়েছে দেশের বাইরে থেকে। সমস্যার সমাধান করতে ওয়েব ডেভেলপাররা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। গ্রাহকরা যেনো সাইবার দুবৃত্তদের শিকার না হন সেই পথটিও বন্ধ করতে কাজ চলছে। তবে ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কিনতে সমস্যা হলেও ৭৭টি কাউন্টার থেকে ডিজিটালি টিকিট বিক্রি হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।