করোনাকালে ঘরে বসেই আউটসোর্সিং শেখার সুযোগ বাস্তবায়েনে ১৫টি লটে দায়িত্ব পেয়েছে ৩৫টি আইটি কোম্পানি। সরকারের এলইডিপি (লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রকল্প) প্রকল্পের অধীনে এজন্য ব্যয় হচ্ছে ১৩৫ কোটি টাকা।
সূত্রমতে, প্রথম লটে আইবিসিএক্স প্রাইমেক্স, লিডস ট্রেনিং ও এভিস টেকনোলোজিস জয়েন্ট ভেঞ্চার। দ্বিতীয় লটে কাজ পেয়েছে হাইপারটেগ সলিউশন।
তৃতীয় লটে ইনফ্লাক লিমিটেড, প্রাইমটেক, স্পিনঅফ স্টুডিও জেভি; ৪র্থ লটে মুবিন আইটি এবং পঞ্চম লটে কাজ পেয়েছে সুশিয়ান, সফটশেল লিমিটেড।
এছাড়াও ষষ্ঠ লটে একেআর টেকনোলোজিস,ইনফিনিটি টেকনোলোজিস জেভি; সপ্তম লটে সাউথটেক লিমিটেড, আইসফট কমিউনেকেশন জেভি, ৮ম লটে ব্যাবিলন রিসোর্স লিমিটেড ও ইজি টেক; নবম লটে বিটুএম টেকনোলোজিস ও আইডিয়াটেক লিমিটেড; দশম লটে বেস আইটি, এক্সপোনেন্ট জেভি; একাদশ লটে সিগমা সিস্টেমস লিমিটেড, বারাশিয়া ইন্টারন্যাশনাল; দ্বাদশ লটে ডিজিকন টেকনোলজিস, এমসিসি, শুটিং স্টার লিমিটেড; ত্রয়োদশ লটে সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড, অপটিমাল আইটি জেভি; চতুর্দশ লটে ইমিডিয়া বাংলাদেশ ও নাবিল টেক জেভি এবং পঞ্চদশ লটে এই কাজ পেয়েছে কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড বিড, আরডিএফ পেমেন্ট ও সফটপার্ক জেভি ।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এই প্রকল্পের জন্যে দরপত্র আহ্বান করা হয় । দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে কোভিড ১৯ অবস্থার কারণে এই প্রকল্পটি অনলাইনেই উদ্বোধন হয়। এই উদ্যোগ আইসিটি প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকে থাকতে সরকারের একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে এই প্রকল্পের আওতায় আরো কিছু প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভূক্ত করা হলে আইসিটি খাতটি আরো দৃঢ় অবস্থানে পৌঁছতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, রেশনিং পদ্ধতিতে এই প্রকল্পটি শতাধিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বন্টন করা হলে করোনার দুর্যোগ মোকাবেলা করে আই খাতের কোম্পানিগুলো টিকে থাকার শক্তি পাবে। এক্ষেত্রে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন বেসিস সদস্যভূক্ত আইটি কোম্পানিগুলো।
খাতসংশ্লিষ্টদের দাবি, বেসিস সদস্যভূক্ত শতাধিক কোম্পানির মধ্যে এই কাজ বন্টন করে দেয়া হলে করোনাকালে তারা যেমটা উপকৃত হবে, একইসঙ্গে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের গতিও ত্বরান্বিত হবে।