২০১৪ সালে থেকে এই প্রথমে কোনো প্রান্তিকে ৩০০ মিলিয়ন ইউনিটের কম স্মার্টফোন বাজারে সরবরাহ হয়েছে। গত বছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এবছর সরবরাহ কমেছে ১৩ শতাংশ। বিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ জানিয়েছে, চীন স্মার্টফোন এবং স্মার্টফোন উপকরণ উভয় ক্ষেত্রেই খারাপ অবস্থায় রয়েছে (আগের বছরের তুলনায় ২৭ শতাংশ কমেছে)।
চীনের স্মার্টফোন ও স্মার্টফোন উপকরণ সরবরাহ কমে যাওয়ার ফলে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের সাপ্লাই চেইনে পরিবর্তন আনতে হতে পারে, বিশেষ করে ভারত এবং ভিয়েতনামমুখী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কাউন্টারপয়েন্ট ধারণা করছে, লকডাউন শেষ হয়ে গেলেও ক্রেতাদের কেনাকাটার ধরণে পরিবর্তন আসতে পারে। তারা অনলাইনে সাশ্রয়ী ফোন কিনতে চাইবে।
এই মহামারিতেও কিছুটা ভালো অবস্থায় রয়েছে ফাইভজি ফোন। চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে মোট সরবরাহ হওয়া ফোনের ৮ শতাংশই ছিলো ফাইভজি ফোন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১% বেশি। তবে আগামীতে ৩০০ ডলারের নিচের ফাইভজি স্মার্টফোনের প্রবৃদ্ধি হতে পারে।
ব্র্যান্ড হিসেবে নতুন হলেও রিয়েলমি আগের বছরের তুলনায় এবছর ১৭৫% প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে। প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড শাওমির স্মার্টফোন সরবরাহে ৭% প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ভারতে লকডাউন অপেক্ষাকৃতভাবে দেরিতে শুরু হওয়ার সুযোগটি পেয়েছে এই দুটি ব্র্যান্ড। উভয় ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রেই সবচেয়ে বড় বাজারে ভারত।
আর্থিক সমস্যার কারণে প্রিমিয়াম সেগমেন্টের ফোনগুলোর বিক্রির উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। আগের মতোই মধ্যম-মানের ফোনগুলোর বাজার বাড়বে।
বছরভিত্তিকভাবে ১৮ শতাংশ সরবরাহ কমলেও বিশ্বের সর্ববৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতা হিসেবে স্যামসাংই বাজার দখল করে আছে। তবে আগামী প্রান্তিকে অবস্থা আরও শোচনীয় হবে।
চীনে হুয়াওয়ের বাজার ভালো থাকলেও গতবছরের তুলনায় ১৭% সরবরাহ কমেছে। অ্যাপলের আইফোন সরবরাহ কমেছে ৫ শতাংশ এবং আইফোন বিক্রিতে আয় কমেছে ৭ শতাংশ।
তবে সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থায় এইচএমডি’র নোকিয়া ব্র্যান্ডের ফোনের। আগের বছরের তুলনায় ৩৪ শতাংশ কমেছে সরবরাহ। ২০১৯ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিক থেকেই খারাপ অবস্থার দিকে যাচ্ছে নোকিয়া স্মার্টফোন। এবছরের প্রথম প্রান্তিকে মাত্র ১৭ লাখ ইউনিট নোকিয়া স্মার্টফোন সরবরাহ হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪৫% কম।
অন্যরা কোভিড-১৯ মহামারিকে দোষারোপ করতে পারলেও এইচএমডি ও নোকিয়ার কারণ অন্যখানে।
ডিবিটেক/বিএমটি