মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি শুরু করছে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। গাজীপুরের চন্দ্রায় নিজস্ব কারখানায় ইতিমধ্যেই উৎপাদনের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। সেখানে তৈরির প্রস্তুতি চলছে পিএপিআর (পাওয়ার এয়ার পিউরিফায়ার রেসপিরেটর), অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, ইউভি ডিসইনফেকট্যান্ট, সেফটি গগলস, প্রোটেকটিভ শিল্ড, রেসপিরেটরি মাস্ক। আর শিগগিরি উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে অক্সিজেন সরবরাহ যন্ত্র (ভেন্টিলেটর)।
এ বিষয়ে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাহী পরিচালক উদয় হাকিম ডিজিবাংলাকে বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সেফটি গগলস এবং প্রোটেকটিভ শিল্ড উৎপাদন শুরু হচ্ছে। খুব শিগগিরই ভেন্টিলেটরসহ অন্যান্য ডিভাইস নিয়েও পজিটিভ ফিডব্যাক দিতে পারবো বলে আমরা আশা করছি। যা হবে দেশের চিকিৎসা খাতের জন্য একটি মাইলফলক। প্রথমবারের মতো আমরা পাবো বাংলাদেশে তৈরি ভেন্টিলেটর, পিএপিআর এবং অক্সিজেন কনসেনট্রেটর।
তিনি জানান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দিক-নির্দেশনায় চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে ওয়ালটনকে সহায়তা করছে এটুআই ইনোভেশন ল্যাব (আইল্যাব)।
এ প্রসঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ জানান, বর্তমানে চিকিৎসা সরঞ্জামের গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএন্ডডি) এবং ডিজাইন নিয়ে কাজ চলছে। এ কাজে নিয়োজিত আছেন ওয়ালটনের অর্ধশতাধিক প্রকৌশলী। কারখানাসহ অফিস ছুটি থাকলেও, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দেশের জরুরি অবস্থা বিবেচনায় বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ওয়ালটন কারখানায় এসব চিকিৎসা সরঞ্জামের উৎপাদন কাজ চলছে।