জাতীয় প্রমিত মান লাভ করেছে বিজয় বাংলা কীবোর্ড এর তৃতীয় সংস্করণ। ফলে এখন থেকে ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলা লেখার ক্ষেত্রে এই কীবোর্ডটি ব্যবহারে সরকারি বাধ্যবাধকতা আসেছে। পাশাপাশি সরকারি চাকরি পরীক্ষাতেও এই কীবোর্ড ব্যবহার করেই পরীক্ষা দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের।
জানাগেছে, রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা রক্ষায় ভাষা-বিজ্ঞান মান মেনে বিজয় কীবোর্ড তৈরি হয়েছে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে দেশে এই কীবোর্ডের মাধ্যমে ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলা লেখা প্রচলিত থাকায় সরকাার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে বিজয় কীবোর্ডের রূপকার মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিজয় বাংলা কীবোর্ড ৩.০ এখন জাতীয় প্রমিত মান। এর বিডিএস নাম্বার ১৭৩৮:২০১৮। সরকারি নিয়ম অনুসারে কেবলমাত্র এই কীবোর্ডই সর্বত্র ব্যবহৃত হবার কথা। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং কেবিনেট ডিভিসন তেমন নির্দেশনাই দিয়েছেন। বাংলাদেশে আর কোন কীবোর্ড এর সরকারি স্বীকৃতি নেই। সবাই প্রমিত মান মেনে চলুন। সরকারি চাকরিতে পরিক্ষা হবে এই কীবোর্ডেই। এখন পর্যন্ত বিজয় ছাড়া এসব মানসম্মত আর কোন কীবোর্ড বা সফটওয়্যার বাংলাদেশে নেই।
সূত্রমতে, শুরু থেকেই দেশের ডিজিটাল প্রকাশনা জগতে বিজয় কী-বোর্ড সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে মোবাইলে লেখার ক্ষেত্রেও এই কীবোর্ডের ব্যবহার বাড়ছে। তবে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশনা থাকার পরও বিজয় কীবোর্ড ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা না মানার রেওয়াজ লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, বিজয় কীবোর্ডটি বাংলাভাষীদের কাছে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় বেশ কয়েক বছর ধরেই এই কীবোর্ড লেআউট নিজেদের কী-বোর্ডে ব্যবহার করছে লজিটেক। ২০১৭ সাল থেকে লজিটেক কে-১২০ মডেলে প্রকাশ হচ্ছে বিজয়ের তৃতীয় সংস্করণ। যেখানে ইউনিকোড বিধিসম্মত দুই স্তরের কিবোর্ডের মাধ্যমে সংযুক্ত রয়েছে প্রাচীন বাংলার লুপ্ত চিহ্ন ও লিপি।