এক বছরের ব্যবধানে দেশে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী ২ দশমিক ৫০ শতাংশ ও ইন্টারনেট ব্যবহাকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে আগের বছরের চেয়ে ২০২২ সালে ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যবহারকারীর হার যতটা বেড়েছে, সেই তুলনায় স্বাক্ষরতার হার ততটা বাড়েনি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল স্ট্যাটিসটিকস ২০২২’ প্রতিবেদন থেকে মিলেছে এই তথ্য। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ভবনে মঙ্গলবার (১৩ জুন) প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন উপ পরিচালক আলমগীর।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে ১৫ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার প্রায় ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতো। এদের মধ্যে ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ ওই বছর ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন। আর ২০২১ এ বয়সসীমার জনসংখ্যার ৭১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন। সেই হিসাবে আগের বছরের চেয়ে এ হার প্রায় আড়াই শতাংশ বেশি।
অপরদিকে ২০২২ সালে ৫ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার প্রায় ৫৯ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করতেরন ৪১ শতাংশ মানুষ । এর আগের বছর মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ছিল ৫৭ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৩৯ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বেড়ে বেড়েছে ১ দশমিক ৮০ শতাংশীয় পয়েন্ট।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২২ সালে ১৫ বছরের বেশি বয়সী জনসংখ্যার মধ্যে ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেছেন। আগের বছর যা ছিল ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ।
তবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মধ্যে পুরুষের তুলনায় নারীরা পিছিয়ে। ৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৪৭ দশমিক ৬ শতাংশ পুরুষ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং নারীদের ক্ষেত্রে এ হার ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
অপরদিকে ১৫ বছর বয়সী জনসংখ্যাতেও ইন্টারনেট ব্যবহারে নারীরা পিছিয়ে। ৫৩ দশমিক ৯ শতাংশ পুরুষের বিপরীতে নারীর হার ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ।
বিবিএস ডিজি (চলতি দায়িত্ব) পরিমল চন্দ্র বসুর সভাপতিত্বে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২২ সালে দেশের দুই হাজার ১২টি ইউনিট, ৩ লাখ ৬ হাজার ৯৫৪টি খানা এবং ১৩ লাখ ২ হাজার ৭৮৮ জনের ওপর জরিপ চালিয়ে বার্ষিক এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।