মোবাইল ব্যাংকিংয়ে এক মাসের ব্যবধানে দেশে গ্রাহক বেড়েছে ২৬ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪জন। তাবে গ্রাহক বাড়লেও লেনদেন কমেছে ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
ফেব্রুয়ারি শেষে মোবাইল আর্থিক সেবার (এমএফএস) নিবন্ধিত হিসাব দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৬৭ লাখ ৫৯ হাজার ১৭১টি। ডিসেম্বরে তা ছিল ১৯ কোটি ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩টি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, ফেব্রুয়ারি মাসে এমএফএস-এর মাধ্যমে ৯৭ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে লেনদেন হয়েছিল ৭৮ হাজার ৫৪৫ কোটি টাকা।
প্রাপ্ত তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারির চেয়ে ফেব্রুয়ারিতে লেনদেন ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ কমেছে। জানুয়ারিতে এমএফএসে লেনদেন হয় ১ লাখ ৫৯৩ কোটি টাকা, যা ৯ মাসের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ৯ মাস আগে ২০২২ সালের এপ্রিলে লেনদেন হয়েছিল ১ লাখ ৭ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, গত ডিসেম্বরে এমএফএসে লেনদেন হয় ৯৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। নভেম্বর, অক্টোবর ও সেপ্টেম্বরে লেনদেন হয় যথাক্রমে ৯২ হাজার ১২৫ কোটি, ৯৩ হাজার ১৩ কোটি ও ৮৭ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেয়। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মধ্য দিয়ে দেশে এই সেবার যাত্রা শুরু হয়। এর পরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে বিকাশ। বর্তমানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং বাজারের সিংহভাগই বিকাশের দখলে।
এছাড়াও রকেট, এমক্যাশ, উপায়, নগদসহ দেশে বর্তমানে ১৩টি প্রতিষ্ঠান এই আর্থিক সেবা দিচ্ছে। এদের মধ্যে বিকাশের পরেই রয়েছে নগদ। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটি পেয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নন-ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার চূড়ান্ত ছাড়পত্র। ফলে শিগগিরই এর সেবার কলেবর আগের চেয়ে অনেক অনেক বাড়বে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। বলা হচ্ছে- মাইক্রো লোন, বাই নাউ পে লেটারসহ আরো নতুন নতুন সেবা আসবে নগদ ফাইন্যান্স পিএলসি-তে।