ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ৭ এপ্রিল শুরু হয় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। সেদিন পাওয়া যায় ১৭ এপ্রিলের টিকিট। আজ পাওয়া যায় ১৯ এপ্রিলের টিকিট। ২০ এপ্রিলের টিকিট ১০ এপ্রিল এবং ২১ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে ১১ এপ্রিল। ফলে এখন সেহরি করেই লাইনে দাঁড়ানোর দুর্ভোগ মুক্ত হয়েছেন যাত্রীরা। মুঠোফোন কিংবা ইন্টারনেট থেকে ঘরে বসেই কাটছেন ঈদের ছুটিতে নীড়ে ফেরার টিকিট।
ঈদযাত্রায় ট্রেনের আগাম টিকেট বিক্রির তৃতীয় দিনেও নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে উত্তরবঙ্গসহ চাহিদা বেশি থাকা রুটের সব টিকেট। যথারীতি এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রেলের পূর্বাঞ্চলীয় রুটের টিকেট পাওয়া যাচ্ছিলো।
সকাল ৮-৮:৩০ পর্যন্ত সময়ে রেল সেবা অ্যাপে ভিজিট করেছেন ৮২ লাখের মতো ভিজিটর। এর মধ্যে টিকিট বিক্রি হয়েছে ১১ হাজার ৬৪৬টি। শনিবার সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত হয়েছে রেকর্ড পরিমাণ টিকিট বিক্রি। এই সময়ে সার্ভারে হিট হয়েছে দেড় কোটির বেশি। বিক্রি হয়েছে ৩০ হাজার টিকেট। বিক্রি শুরু হবার পরপরই রেলসেবা অ্যাপ ও রেলের পোর্টালে এক আসনের বিপরীতে ৪৭ জন টিকেট কাটার চেষ্টা করেছেন। ১৮ এপ্রিলের ২৮ হাজার টিকেটের জন্য একসঙ্গে লগইন করেছেন সাড়ে ১৩ লাখ টিকেট প্রত্যাশী।
দিন যতই যাচ্ছে ততই চাপ বাড়ছে টিকেটের ওপর। রবিবার বিশেষ করে ময়মনসিংহ ও জামালপুর রুটে চলাচলকারী অগ্নিবীণা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, জামালপুর ও তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকেটের চাহিদাও ছিল বেশ।
রাজশাহীগামী সিল্কসিটি, পদ্মা এক্সপ্রেস, ধূমকেতু এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেসের টিকিট সকাল ৯টার দিকেই শেষ হয়।
উত্তরবঙ্গের একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের টিকিট শেষ হতে সময় নেয় দুই ঘণ্টা। ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা রুটের মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেসের দেড় হাজার টিকেট বিক্রি হয়ে যায়।
চট্টলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর, মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের পাঁচ হাজার টিকিটের অধিকাংশই বিক্রি হয়ে গেছে।
তবে সিলেট রুটের কালনী, পারাবত, জয়ন্তিকা, উপবন এক্সপ্রেসের টিকেট এখনও পাওয়া যাচ্ছে। এই রুটে বরাবরের মতো আজও চাপ নেই। দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিট খালি ছিল প্রায় ৪০০। চাহিদা-যোগানের বিস্তর ব্যবধান মিটিয়ে প্রতিদিন গড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬ হাজার টিকিট। তবে এই টিকিট কিনতে সময়, যাতায়াত খরচ যেমন হচ্ছে না; তেমনি অবসান ঘটতে যাচ্ছে টিকেট কালোবাজারির।
সূত্রবলছে, রেলের অ্যাপে প্রতি মিনিটে কমপক্ষে ১০ লাখ ভিজিটর প্রবেশ করতে পারেন। এছাড়া প্রতি মিনিটে টিকিট বিক্রি করা যায় ১০ হাজার। যারা অ্যাপব্যাবহারে সমস্যায় পড়েন সেটা সার্ভারের কোনো জটিলতা নয়; সমস্যা নেটওয়ার্কের।