পরীক্ষামূলক ভাবে ভারতের প্রথম ফ্লেক্স-ফুয়েল গাড়ি উন্মোচন করলো জাপানি অটোমোবাইল সংস্থা টয়োটা। গাড়িটির নাম টয়োটা করোলা আল্টিস হাইব্রিড।
পরীক্ষামূলক প্রকল্পের আওতায় হাজির করা গাড়িটির প্রধান উদ্দেশ্য,ভারতীয় পরিবেশে স্ট্রং হাইব্রিড ফ্লেক্স ফুয়েল ইলেকট্রিক গাড়িটির দক্ষতা খতিয়ে দেখা। ফ্লেক্স-ফুয়েল ইঞ্জিন থাকার দরুণ গাড়িটি পেট্রোল এবং ইথানলের মিশ্রণ অথবা যে কোনো একটি জ্বালানিতে চলতে সক্ষম।
এই জাতীয় গাড়ির ব্যাপকভাবে প্রচলন ঘটলে পেট্রোল এবং ডিজেলের ওপর নির্ভরতা যে কমবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গাড়িটিতে একটি ১.৮ লিটার ইথানল চালিত পেট্রোল হাইব্রিড ইঞ্জিন দেওয়া হয়েছে। গাড়িটি ১০০% পেট্রোল এবং ২০-১০০% ইথানল ও পেট্রোলের মিশ্রণে চলতে পারবে। এমনকি এটি বিদ্যুতেও চলতে সক্ষম।
এদিকে দুবাইয়ে এক্সপেঙ এক্স-২ নামের বিদ্যুচ্চালিত ফ্লাইং ট্যাক্সির পরীক্ষা করেছে একটি চীনা প্রতিষ্ঠান। এ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতের যুগোপযোগী প্রযুক্তির আভাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি, যা একদিন শহুরে জীবনের যাতায়াত ব্যবস্থাকে আমূল পাল্টে দেবে।
চীনের গুয়াংজুভিত্তিক বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এক্সপেঙ মোটরের প্রস্তুতকৃত এক্সপেঙ এক্স-২ হলো বিশ্বের ডজনখানেক ফ্লাইং কার প্রকল্পের মধ্যে একটি। এরই মধ্য গাড়িটি সফলভাবে পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে। এ পরীক্ষায় ট্যাক্সিতে কোনো যাত্রী ছিল না। তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, ২০২১ সালের জুলাইয়ে মনুষ্যবাহী উড্ডয়ন পরীক্ষা করা হয়েছিল।
নান্দনিক ডিজাইনের বিশেষ এ গাড়ি আটটি প্রপেলারের একটি সেট দ্বারা চালিত হয়, যা দুজন যাত্রী বহন করতে পারে। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এটি প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার (৮০ মাইল) গতিতে ছুটতে সক্ষম।
পাইলটবিহীন এ গাড়ি একদিন জনাকীর্ণ রাস্তার শহরে যাত্রী নিয়ে উড়ে বেড়াবে, জনজীবন সহজ ও দ্রুতগামী করবে। তবে সবার আগে এটির ব্যাটারি সক্ষমতা, এয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং অবকাঠামো উন্নয়নের মতো মূল চ্যালেঞ্জগুলো উতরাতে হবে।