বহুল আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতারের পর বুধবার (১৭ জুলাই) আদালতে তার পক্ষে কোনও আইনজীবী না দাঁড়ানোর খবর প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা ঝড় বইতে শুরু করেছে। ফেসবুকে বিভিন্ন মন্তব্য ও প্রশ্ন রেখে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিভিন্ন জন।
ফেসবুকে মাসুদা ভাট্টি লিখেছেন, ‘মিন্নির পক্ষে স্থানীয় কোনও আইনজীবী লড়তে চাচ্ছেন না। কারণ, হিসেবে তারা বলেছে, এতে তারা বিতর্কিত হবেন ।আচ্ছা, মিন্নি কি একজন স্বীকৃত ধর্ষক? কিন্তু স্বীকৃত ধর্ষকের পক্ষেও তো আইনজীবীরা লড়তে কুণ্ঠাবোধ করেন না। আহা দুনিয়া!’
সাংবাদিক রাজীব নূর তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, ‘মেয়েটার পক্ষে কোনও আইনজীবী দাঁড়ালেন না। অথচ মিন্নির বাবা তার মেয়ের জন্য জিয়া উদ্দিন, গোলাম মোস্তফা কাদের ও গোলাম সরোয়ার নাসির নামে তিন জন আইনজীবীকে নিয়োগ করেছিলেন। তারা আদালতে দাঁড়াতে না পারার ব্যাখ্যা হিসেবে ওকালাতনামায় স্বাক্ষর নিতে না পারার অজুহাত দেখিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, আদালতে বিচারক মিন্নির কাছে জানতে চেয়েছিলেন, তার পক্ষে কোনও আইনজীবী রয়েছেন কিনা? আমি আমার আইনজীবী বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করে নিশ্চিত হয়েছি, তখন চাইলেই ওই তিন জন অনায়াসে নিজেদের মিন্নির পক্ষভুক্ত করে নিতে পারতেন। কেন তারা তা করেননি অনুমান করা কঠিন নয়। আমি বলছি না মিন্নি নির্দোষ। এমনটা দাবি করার কোনও সুযোগ আমার নেই। তবে মিন্নিকে দোষী সাব্যস্ত করা গেলে কার লাভ, সেটা আরো অনেকের মতো আমিও বুঝতে পারছি। মিন্নির বাবা ওর রিমান্ড শুনানির সময় কোর্টের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন এবং কাঁদছিলেন বলে বরগুনার এক সাংবাদিক বন্ধু বিকালেই জানিয়েছিলেন আমাকে। কার ভয়ে?’
সাংবাদিক সালেহ বিপ্লব লিখেছেন, ‘মিন্নির পক্ষে নাকি কোনও আইনজীবী আদালতে দাঁড়াচ্ছেন না! এ কেমন কথা? এ কেমন আইনের শাসন? হতে পারে মিন্নি জড়িত ছিলেন রিফাত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে। হতে পারে মিন্নির স্বভাবচরিত্র ভালো না। আরো বহু কিছু হতে পারে। এমনকি মিন্নি সম্পর্কে একজন সাংবাদিক হিসেবে আমার রিডিং ইঙ্গিত করে কুৎসিৎ কোনও ঘটনাপ্রবাহের দিকে, এটাও হতে পারে। কিন্তু তিনি এই মামলায় আইনি সহায়তা পাবেন না, এটা একটা জঘন্য ব্যাপার। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে মিন্নিকে অবশ্যই আইনগত সহায়তা দিতে হবে। কোনও আইনজীবী তার পক্ষে না দাঁড়ালে সরকারের দায়িত্ব তার পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ করা।’
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মাইনুল ইসলাম লিখেছেন, “বরগুনার উকিলরা ব্লাডি বাস্টার্ড কারণ এরা এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর কুলাংগার পুত্র ছোট গডফাদারের হুমকিতে মিন্নির পক্ষে দাঁড়ায়নি।”
মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ৫ দিনের রিমান্ডে মিন্নি বদনাম হুয়ে!
মেসবাহ শিমুল লিখেছেন, ‘মিন্নির পক্ষে কোনো আইনজীবী দাড়ায়নি’
ক্ষমতাবানদের ক্ষমতার দৌরাত্ম বুঝলেনতো?’