সাময়িকভাবে অফিস বন্ধ ঘোষণা করেছে আলোচিত অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার কর্তৃপক্ষ। এ সময়ে কর্মীদের সব ‘ব্যাজ অ্যাক্সেস’ (টুইটারের সার্ভারে প্রবেশ) বন্ধ থাকবে। তবে ঠিক কী কারণে এ পদক্ষেপ, তা বলা হয়নি।
পাশাপাশি টুইটারের গোপনীয় তথ্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া বা গণমাধ্যমে আলোচনা থেকে বিরত থাকতে শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) কর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কর্মীদের পাঠানো এক ক্ষুদে বার্তায় তাৎক্ষণিকভাবে অফিস বন্ধের সিদ্ধান্ত কার্যকর করার নির্দেশনা দিয়ে আগামী ২১ নভেম্বর আবার অফিসগুলো চালু হবে বলে জানিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। বার্তায় বলা হয়েছে, ‘দয়া করে কোম্পানির নীতিমালা মেনে অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে সামাজিক মাধ্যম, গণমাধ্যম বা অন্য কোনোখানে আলোচনা করবেন না।’
এমন নির্দেশনা আসার আগ থেকেই টুইটারকর্মীদের কাছে এরই মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে স্যালুট ইমোজি। এই ইমোজি দিয়ে কর্মীরা হয়তো মনে মনে বলছেন—চললাম, ভালো থাকুন। প্রতিষ্ঠানটি থেকে যারা পদত্যাগ করতে চাইছেন, তাদের অনেকেই অভ্যন্তরীণ চ্যাট গ্রুপে জুড়ে দিচ্ছেন এই স্যালুট ইমোজি; সঙ্গে বিদায়ের ভাষ্য তো রয়েছেই।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টুইটারের চাবি ধনকুবের ইলন মাস্কের হাতে আসার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটিতে টালমাটাল অবস্থা। কখনো ইলন মাস্ক ছাঁটাই করছেন কর্মীদের, কখনো বা কর্মীরাই বিদায় জানাচ্ছেন টুইটারকে। তাই পরবর্তী পরিস্থিতি সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে হঠাৎ করে এত সংখ্যক কর্মী কেন এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তার কারণ জানতে অবশ্য বাকি নেই। কর্মীদের কাঁধে অতিরিক্ত কাজের চাপ বসিয়ে দেয়া এবং একের পর এক সিদ্ধান্তের কারণে কর্মীরাও ভরসা পাচ্ছেন না।
এর মধ্যেই দীর্ঘ সময় কাজ করার মানসিকতা না থাকলে কর্মীদের টুইটার ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেন মাইক্রোব্লগিং সাইটটির নতুন নির্বাহী ইলন মাস্ক।
সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, টুইটারের নীতিতে যারা সম্মত হবেন না, তাদের তিন মাসের বেতন দিয়ে ছাঁটাই করা হবে। কর্মীদের পাঠানো ইমেইলে বলেছেন, সাফল্য পেতে হলে টুইটারকে আরও কঠিন হতে হবে। আরও বেশি পরিশ্রমের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় কাজ করতে হবে। শুধু ব্যতিক্রমী কর্মদক্ষতা মূল্যায়নের যোগ্য হবে।