আইসিটি বিভাগ থেকে অর্থায়ন প্রাপ্ত নবীন উদ্যোক্তাদের সফলতার হার ৩০ শতাংশের ওপরে। এই সফলতাকে এগিয়ে নিতে আগামী ৬ মাসে ২৫ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। আলিয়া ও কওমী মাদরাসার ৫০ লাখ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রতিটি মাদরাসায় স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট ফেস্টিভ্যাল করা হবে। এভাবেই ২০২৫ সালের মধ্যে আইটি খাত থেকে আড়াই হাজার উদ্যোক্তাকে দ্বিগুণ করে ২০ লাখ থেকে ৩০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। এছাড়াও বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের মধ্যে ১০০ নারী উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা বিতরণ করা হবে।
বুধবার আইসটি টাওয়ারের বিসিসি সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য দিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের গাইডলাইনগুলো স্টার্টআপ বান্ধব করা ওপর আলোকপাত করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জানান, এ জন্যই স্টার্টআপ পলিসি তৈরি করছে আইসিটি অধিদপ্তর।
পলক জানিয়েছেন, আগামী ১৮ বছরের মধ্যে প্রত্যেক নাগরিককে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলা হবে যারা হবেন বুদ্ধিদীপ্ত, মানবিক ও দেশপ্রেমিক।
আইডিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কাজী এম. আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নিজের উদ্যোক্তা জীবনের কথা তুলে ধরেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন।
হাইব্রিড পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত “স্মার্ট এন্টারপ্রিনিউর: স্মার্ট বাংলাদেশ” শিরোনামের এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইসার আনীর চৌধুরী।
নিজের উদ্যোক্তা জীবনের চাড়াই উৎরাই প্রকাশ করেন নারায়নগঞ্জ এর লিডিং লাইট (ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট) এর প্রতিষ্ঠাতা সিনথিয়া আকতার লিজা।
সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন আইডিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন মুখ্য সচিব মো: আবুল কালাম আজাদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ এবং ডিজিকন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাক্কো এর সভাপতি ওয়াহিদ শরিফ।
অনুষ্ঠানে নিজেদের অভাব-অভিযোগ তুলে ধরার পাশাপাশি কিছু প্রশ্ন ও পরামর্শ দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন স্থানের উদ্যোক্তারা।