মেহেরপুর জেলা সদরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
আজ (সোমবার) এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
‘শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার’ মেহেরপুরবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর এক অনন্য উপহার জানিয়ে পলক বলেন, বাংলাদেশে ৮ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করেছি। আগামী ২৫ সালের মধ্যে আমরা ৩৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করবো।
শিক্ষকতা বা গবেষক না হলে এত টাকা খরচ করে, এত সময় নষ্ট করে আমাদের সকলকে কেন উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। এসএসিস বা এইচএসসি পাশ করে ৬ মাস বা ১ বছরের একটা ডিপ্লোমা কোর্স করে এ মূহুর্তে যে দক্ষতার প্রয়োজন সেই অনুযারী শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, প্রতিযোগিতার এই যুগে আমাদের তরুণদের টিকে থাকতে হলে প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নাই। সরকার এজন্যই একটি প্রযুক্তি নির্ভর জাতি গড়ে তুলতে কাজ করে চলেছে। এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন। আমরা দৈনন্দিন অনেক কাজই এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করতে পারছি। আমাদের রপ্তানি খাতেও ডিজিটাল ডিভাইস অবদান রাখতে পারে।
বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ সেনাবহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ১১টি জেলায় প্রায় ৭৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লে. জে. ওয়াকার-উজ্-জামান, বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী অনিরুদ্ধ, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান এবং পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম উপস্থিত ছিলেন।