সাইবার ঝুঁকি এড়াতে ২৭টি ঝুঁকিপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো চিহ্নিত করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি। এসব ক্ষেত্রে সেন্সর বসিয়ে তথ্যের আদান-প্রদানে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে আইসিটি বিভাগ।
এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি ও বিজিডি ই-গভ সার্ট এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাইবার ওয়ারফেয়ার ও তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় বিশেষ সমঝোতা চুক্তি হয়েছে।
চুক্তিতে সই করেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির পরিচালক (অপারেশন) এবং বিজিডি ই-গভ সার্টের প্রকল্প পরিচালক তারেক এম. বরকতউল্লাহ এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সাইবার ওয়ারফেয়ার ও তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের পরিচালক এয়ার কমোডর মোঃ তৌহিদুল ইসলাম।
চুক্তি অনুষ্ঠানে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনআইডি এবং পাসপোর্টের মতো দেশের স্পর্শকাতর ও ঝুঁকিপূর্ণ তথ্যের সুরক্ষায় কাজ করছে ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি। ডিজিটাল বাংলাদেশকে ডিজিটালি সিকিউর বাংলাদেশে পরিণত করতে সকল সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বাহিনী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে আমাদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তব্যে সাইবার দুবৃত্তরা করোনা টিকা কার্যক্রম ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ যাতে বন্ধ হয়ে যায় সেজন্য দেশের বাইরে থেকে অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত একটা মহল সাইবার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে, করোনা টিকা কার্যক্রম ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ যাতে বন্ধ হয়ে যায় সেজন্য বাহির থেকে সাইবার হামলা চালানো হয়ছে। আমাদের অভিজ্ঞরা তা ভালো ভাবেই মোকাবেলা করেছে। আশাকরি, ডিজিটাল বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সাইবার যুদ্ধেও বিজয়ী হবো এবং সেজন্য আমরা সকলে মিলে একসাথে কাজ করবো।