বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) সদস্যদের বিসিএস স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় প্রযুক্তি ব্যবসার ভবিষ্যত ধরন ও পরিকল্পনা সম্পর্কে ধারণা দিতে ‘ফিউচার ট্রেন্ড অব আইসিটি বিজনেস অ্যান্ড প্ল্যানিং’ শীর্ষক দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১২ জুন শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় অনলাইনে এই প্রশিক্ষন কর্মশালা শুরু হয়। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায় ভবিষ্যত পরিকল্পনা গুরুত্বপূর্ণ। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আইসিটি প্রোডাক্ট প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। বদলে যাচ্ছে গ্রাহকের চাহিদা। একসময়ের বক্স মনিটর বদলে এখন মানুষ পাতলা মনিটরে অভ্যস্ত হয়েছে। ডেস্কটপের জায়গা দখল করে নিয়েছে ল্যাপটপ এবং মুঠোফোন। এভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স, ৫জি টেকনোলজি, আইওটি, ব্লকচেইন, ভয়েস রিকগনাইজারসহ নানা প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিভাইস সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকলে ব্যবসায়ীরা মূলত ভবিষ্যতে লাভবান হতে পারবে না। এজন্যই বিসিএস দেশ সেরা প্রযুক্তিবিদদের সমসাময়িক বিষয়ে সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। বিসিএস সদস্যসহ দর্শনার্থী এবং শ্রোতারা অনলাইন এই প্রশিক্ষণে উপকৃত হবেন বলেই আমার বিশ্বাস।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
তিনি বলেন, আইটি ব্যবসার মূলমন্ত্রই হলো দূরদর্শী হওয়া। বর্তমান চিন্তা করে প্রযুক্তি ব্যবসা শুরু করলে সেই ব্যবসায় টিকে থাকা কঠিন হবে। দূরদর্শীতার সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উদাহরণ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের ভিষন ২০২১ এবং ২০৪১ এর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তার মানে হলো তিনি সেই সময়ে ২০৪১ এ বাংলাদেশের রুপ সম্পর্কে ধারণা করতে পেরেছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের (বিএইচটিপিএ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল করোনাকালীন সময়ে সবচেয়ে বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে। ভবিষ্যত প্রযুক্তি ব্যবহারের আগে আমরা বর্তমান টেকনোলজির সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছি। এখন আর ফাইল দেখা বা ফাইলের কাজ করতে টেবিলের সামনে বসে থাকতে হয় না। আমাদের মুঠোফোনেই সব কাজ করা সম্ভব হয়েছে। আমাদের ৮টি হাই-টেক পার্ক বিনিয়োগের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত আছে। ভবিষ্যত প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উৎপাদন এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য হাই-টেক পার্ক অনন্য স্থান। আমরা আশা করি টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানরা শিগগিরই হাই-টেক পার্কে তাদের কারখানা স্থাপন করবে।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আব্দুর রহিম খান। এছাড়াও ডাটা সফটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব জামান, দ্য কম্পিউটার্স লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক খন্দকার আতিক-ই-রব্বানি, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, অ্যামাজন ওয়েব সিরিজ এর সল্যিউশন আর্কিটেকচার লিডার মোহাম্মদ মাহাদি-উজ-জামান, গ্লোবাল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড এর চেয়ারম্যান এ.এস.এম আব্দুল ফাত্তাহ, স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, এক্সেল টেকনোলজিস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সাহা, ইউসিসি এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান কার্যনির্বাহী সরওয়ার মাহমুদ খান, মাসিক সি নিউজ ম্যাগাজিনের প্রকাশক এবং সম্পাদক রাশেদ কামাল হিজল ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এর সহকারী সাধারণ পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম রিজভি।