আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। বাঙালি জাতির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।
দেশে সরকারি-বেসকারি উদ্যেগে নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে দিবসটি। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ৭ মার্চ উদযাপিত হচ্ছে। করোনার প্রভাব থাকায় অফলাইনের পাশাপাশি ৭ মার্চের নানা আয়োজন গুরুত্ব পেল ডিজিটাল মাধ্যমে। সবাই ডিজিটাল মাধ্যমে স্মরণ করেন জাতির পিতাকে।
যথাযোগ্য মর্যাদায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম। রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের আয়োজনে ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হবে।
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর সকাল সাতটায় ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৯ টায় টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঐতিহাসিক ভাষণের পেক্ষাপট ও তাৎপর্য শিরোনামে অনলাইনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, ৭ই মার্চ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি)। দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালনসহ সন্ধ্যায় অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
এছাড়াও, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী, রাবি স্কুল ও শেখ রাসেল মডেল স্কুলের শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইনে রচনা প্রতিযোগিতা ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। আনন্দ র্যালি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজকের দিবসটি উপলক্ষে ইয়াং বাংলা প্রতিবছর ‘জয় বাংলা কনসার্ট’ আয়োজন করে থাকে। করোনা মহামারির কারণে এবার সরাসরি কোন ধরনের আয়োজন থাকছে না। তবে আয়োজক ইয়াং বাংলা জানিয়েছে, পুরনো আয়োজনগুলো নিয়ে টেলিভিশন ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে থাকছে নানা অনুষ্ঠান।
খুলনায় বঙ্গবন্ধুর কালজয়ী ৭ই মার্চের ভাষণের (অনুকৃতি) উচ্চারিত হয় এক লাখ ৫০ হাজার ১৫১ জন শিশুর কণ্ঠে। জুম ওয়েবিনারের মাধ্যমে সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ চত্ত্বরে একসঙ্গে বক্তৃতা দেন এক হাজার পাঁচশত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসার শিশুরা।