বিমানবাহিনীর অধীনে মহাশূন্যের জন্য বিশেষায়িত একটি যোদ্ধাবাহিনীর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের নিকটবর্তী এক সামরিক ঘাঁটিতে এই বাহিনীর কার্যক্রম উদ্বোধনকালে ট্রাম্প মহাকাশকে ‘বিশ্বের নবতম যুদ্ধক্ষেত্র’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) এই খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন। খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে গত ৭০ বছরের মধ্যে এটি হতে যাচ্ছে নতুন কোনো সামরিক বাহিনী। পেন্টাগনের অর্থায়নে পরিচালিত হবে এই ‘স্পেস ফোর্স’ বা ‘মহাকাশ বাহিনী’। শুক্রবার মার্কিন সেনাবাহিনীর জন্য ৭৩ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট অনুমোদন করেন মার্কিন রাষ্ট্রপতি। প্রথম বছর স্পেস ফোর্সের জন্য চার কোটি মার্কিন ডলার বাজেট বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
নতুন এই বাহীনির কার্যক্রম উদ্বোধন কালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা যখন হুমকির মুখে পড়েছে, সে সময় মহাকাশে মার্কিন শ্রেষ্ঠত্ব নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা (বিশ্বের) নেতৃত্ব দিচ্ছি, তবে (অন্যদের চেয়ে) যথেষ্ট এগিয়ে নেই, কিন্তু খুব শিগগিরই আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাব।’ ‘স্পেস ফোর্স মহাশূন্যে আমাদের আগ্রাসন ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করবে’ যোগ করেন ট্রাম্প।
এর আগে গত আগস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নতুন বাহিনীর নাম জানিয়েছিলেন, যারা মহাকাশে যুদ্ধের বিষয়টি তদারক করবে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর মহাকাশ কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য নতুন ওই বাহিনীর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘ইউএস স্পেস কমান্ড’ বা ‘স্পেসকম’। চীন ও রাশিয়া নিজেদের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীর প্রধানদের কাছ থেকে— এমন তথ্য পাওয়ার পর এ পদক্ষেপ নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় বলা হয়েছিল, যোগাযোগ ও নজরদারির জন্য ব্যবহৃত শতাধিক মার্কিন স্যাটেলাইটের কার্যক্রম দেখভাল করাসহ মহাকাশে মার্কিন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো তদারকি করাই হবে নতুন এই বাহিনীর মূল কাজ।