বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটনকে তৃতীয় দফায় ২০ মিলিয়ন ইউরো বা প্রায় ১৮৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে জার্মান বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সংস্থা (ডিইজি)। ওয়ালটন সূত্রে জানা গেছে, এ অর্থ ওয়ালটনের কারখানার সম্প্রসারণ, আধুনিকায়ন, গবেষণা ও মান উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।
ওয়ালটন গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক এবং রেফ্রিজারেটর বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, এর আগে প্রতিষ্ঠানটি ওয়ালটনের বিভিন্ন প্রকল্পে দুই দফায় আরো ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২৩ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ করেছিল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের কোনো বেসরকারি খাতে এটাই সর্বোচ্চ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
সূত্রমতে, বিনিয়োগ ঘোষণা দেয়ার আগে গত ৫ ডিসেম্বর গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা পরিদর্শন জার্মানির ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের হেড অব ডিভিশন (কেএফডব্লিউ অ্যান্ড ডিইজি) লারস নিডার বাংলাদেশ সফর করেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন জার্মানির রাষ্ট্রীয় মালিকাধীন উন্নয়ন ব্যাংক কেএফডব্লিউ-ডিইজি’র ঢাকা কার্যালয়ের ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার ফাইয়াজ হোসেন।
ওয়ালটনের আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম জানিয়েছেন, বর্তমানে বিশ্বের ৩৫টিরও বেশি দেশে ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। বহির্বিশ্বে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিজনেস ভলিউম বাড়াতে জোরোসোরে কাজ চলছে। ওয়ালটন পণ্যের ডিজাইন, উৎপাদন এবং বিশ্বব্যাপী বিপণন নিয়ে কাজ করছেন ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা। উৎপাদন প্রক্রিয়া, গবেষণা ও উন্নয়ন (আরএনডি), মান নিয়ন্ত্রণ বা কোয়ালিটি কন্ট্রোলসহ বিভিন্ন বিভাগে স্থাপন করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনারিজ ও যন্ত্রপাতি।
তিনি জানান, সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার ব্র্যান্ড হুন্দাই এবং ভারতের রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি করেছে ওয়ালটন। পণ্য রপ্তানিতে ওয়ালটন সিই, সিবি, আরওএইচএস, আরইএসিএইচ, ইএমসি, ইইউ, ইউএসএ ইত্যাদি আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড এবং কোয়ালিটি সার্টিফিকেট পেয়েছে।