একটি অভিন্ন স্বাস্থ্য নিরাপত্তা বিধি অনুসরণ করে লকডাউন এলাকায় এটুআইয়ের সার্বিক তত্বাবধানে জনগনকে জরুরী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সদস্যভূক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো।
বুধবার রাজধানী ঢাকার ২৭ নং ওয়ার্ডের রাজাবাজার থেকে শুরু হয় এই কার্যক্রম। বেলা ১১ টা থেকে লকডাউন এলাকায় নিরাপত্তাকর্মীদের চেকিং পেরিয়ে বেশ কয়েকটি অনলাইন কোম্পানী তাদের পন্যের পসরা নিয়ে হাজির হয় সেখানে।
একশপ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে এই কার্যক্রম। ই-ক্যাব থেকে প্রত্যয়নপত্র ও নিরাপত্তা স্টিকার সংগ্রহ করে সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো এই সেবা দেয়া শুরু করেছে।
এই উদ্যোগ বিষয়ে ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সদস্যরা লকডাউন এলাকাগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে ঘরে ই-কমার্সের মাধ্যমে নিত্য জরুরি পণ্য সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। এটুআই এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমতি নিয়ে আমরা ই-ক্যাব থেকে সদস্যদের অনুমতি পত্র, স্টিকার এবং অপারেশন গাইডলইন প্রদান করেছি। ই-কমার্স খাতকে সব রকম সহযোগিতা করার জন্য আইসিটি বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বুধবার সকাল থেকেই চালডাল, একশপ, সবজিবাজার ও সেতারাফার্মকে পণ্য সরবরাহ করতে দেখা গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ৫টির বেশী ভ্যান এবং ৬ টি কাভার্ডভ্যান রাজাবাজারে দিনভর পণ্য সরবরাহ করেছে। ই-ক্যাবের সদস্যভূক্ত ৬০টি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিকভাবে লকডাউন এলাকায় সেবা দেয়ার অনুমতি পেয়েছে।
নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় তারা দূরত্ব বজায় রেখে এবং যথাযথভাবে পরিবহনগুলোকে স্যানিটাইজ করে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে অনলাইনে অর্ডার করা দিনের বাজার।
সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান চালডাল ডটকমের সিইও জিয়া আশরাফ বলেন, আমরা ৩টা গাড়ি নিয়ে রাজাবাজারে পাইলট প্রোজেক্ট শুরু করছি। আরও টিম রেডি আছে অন্যান্য এলাকার জন্য। অনলাইনে আমাদের ওয়েবসাইট, অ্যাপ অথবা কল সেন্টার থেকে যেই অর্ডার গুলো পাব সেই গুলোর পাশাপাশি, আমাদের গাড়িতে কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যও থাকবে; যা দিয়ে আমরা তৎক্ষণাৎ উক্ত এলাকার মানুষকে সেবা দিতে পারবো।