বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের আইটি ট্রেডবডির ভূমিকার প্রশংসা করে এই নেতৃত্ব ধরে রাখতে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে সংগঠনগুলোর নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আইওটি, রোবটিক্স ও এ আই নিয়ে দেশের তথ্যপ্রযুক্তির সংগঠনগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
সোমবার বেসিস সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বেসিসের দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে শেখ হাসিনা যতটা ইতিবাচক কাজ করেছেন তা আর কেউ করেনি। এক্ষেত্রে শেখ হাসিনাকে সহায়তা করা, উৎসাহিত করা এবং অনুপ্রাণিত করার ক্ষেত্রে বেসিস-বিসিএস এর ভূমিকা অনেক। এই ভূমিকার ফলে আজ বাংলাদেশ থেকে ভারতেও সফটওয়্যার রপ্তানি হয়। তবে এতোদিন পর্যন্ত আমরা যে প্রচলিত ধারায় এগিয়ে গেছি; ডিজিটালাইজেশনের একটা স্টেজের যদ্দুর যাওয়ার, তদ্দুর যাওয়া সম্ভব হয়েছে। কিন্তু আমাদের জন্য এখন নতুন প্রযুক্তির সময় এসেছে। এই সময়টা তৈরি করেছে টেলিকমিউনিকেশন। আমরা একসময়ে কিলোবাইটের ডেটা নিয়ে চিন্তা করতাম। এখন তা টেরাবিটে রুপান্তরিত হচ্ছে। ফলে এখন লোটাস বা ডিবেসের সময় নেই। এখন কাজ করতে হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, আইওটি, রোবটিক্স নিয়ে।
বক্তব্যে ‘বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো তখনই স্বার্থক হবে যখন আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিগত সময়ে আইটি ট্রেড বডিগুলো যে ভূমিকা পালন করেছে তা আর কেউ করেনি’ মন্তব্য করেন মন্ত্রী। তার ভাষায়, ‘ডিজিটাইজেশনের জন্য ট্রেডবডিগুলো মতো ভূমিকা আমলা, মন্ত্রী অন্যরা কেউ করেনি। আমরা যেহেতু করেছি তাই এই নেতৃত্ব ধরে রাখতে হবে। সেই সক্ষমতা এই ইন্ডাস্ট্রির আছে।’
তিনি বলেন, আমরা নকল সফটওয়্যার তৈরি করিনি। বরং আমাদের কাছ থেকে অনেকে শিখছে। রোবট, সেলফ ড্রিভেন কার কিংবা পোশাক কারখানায় কাজে লাগানোর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে এখন আমাদের সফটওয়্যার বানাতে হবে। এই ক্ষেত্রে আমরা নেতৃত্ব দেবো। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শীতা নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে তাঁর প্রজ্ঞা, মেধাকে কাজে লাগাতে পারলে আমাদের অন্যকিছু চিন্ত করার দরকার নেই।
বেসিস সহ-সভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খানের সঞ্চালনায় বেসিস কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু বিষয়ে শিক্ষা হয় পারিবারিক। রাজনীতির ছাপিয়ে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব, স্টাইল, অ্যাটিচিউট, প্রেজেন্টেশনের ঢং আজো আমার কাছে বিস্ময়ের। আমার কাছে মনে হয় স্বয়ং আল্লাহ এই গুণগুলো তাকে দিয়েছিলেন। তার লাইফস্ট্যাইল, কাপড় পড়ার ঢং সবমিলিয়ে ‘হ্যাডম’ আজকের প্রজন্মের জন্য শেখার রয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু বেদেহী আত্মার শান্তি কমানায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এই প্রার্থনায় অন্যান্যের মধ্যে বেসিসের পরিচালক একেএম আহমেদুল ইসলাম বাবু, মুশফিকুর রহমান, বেসিস উপদেষ্টা কমিটির সহ-সভাপতি শাহ ইমরাউল কায়ীশ, উত্তম কুমার পাল, বেসিসের নির্বাহী পরিচালক আবু ঈসা মো. মাঈনুদ্দিন, সচিব হাশিম আহম্মদ, বেসিস স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দসহ উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক বেসিস সদস্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জুম ও ফেসবুক লাইভেও অনেকেই অংশ নেন।