প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সামাজিক যোগাযোগ সম্পর্কগুলো এখন সাঁতার কাটছে ফেসবুক-টুইটার, মেসেঞ্জার কিংবা হোয়্যাটসঅ্যাপে। সশরীর আন্তঃসম্পর্কের বদলে এই যুগে মানুষ সব ঢুকে পড়েছে অ্যাপের মধ্যে। অফলাইন নয়, অনলাইনই হয়ে উঠেছে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের বড় মাধ্যম। আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক সব যেন সেখানেই। তাতে কতুটুকু সুবিধা হয়েছে? নাকি উল্টো ‘ডিপ্রেশন’ চোরাবালিতে পড়েছে সবাই। এমন প্রশ্ন রেখে তৈরি হচ্ছে নাটক ‘শব্দপ্রেম’। নাটকটি ঈদুল ফিতরে প্রচারিত হবে চ্যানেল আইতে।
ভিকি জাহেদের পরিচালনায় নাটকের কেন্দ্রীয় দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাসনিয়া ফারিণ ও তৌসিফ মাহবুব। নাটকটির শুটিং অনেক আগে শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন তৌসিফ।
আর নাটেকের গল্প ও নিজের চরিত্র নিয়ে ফারিণ জানিয়ছেন, বর্তামান প্রজন্ম অনেকটা অনলাইন-নির্ভর। কিন্তু অনলাইনে একটা চেহারা দেখলে অফলাইনে আরেক ধরনের। এরফলে সেখানে যে মানুষটা অন্য মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগায় কিন্তু নিজের জীবনেই সে থাকে ডিপ্রেশনে।
ঘটনার কিছুটা ধারণা দিয়ে তিনি বলেন, ধরুন একটা খারাপ খবর সে অনলাইনে শেয়ার করছে। সেটা কি সে নিজ থেকে অনুভব করে দিচ্ছে, নাকি অনলাইনে ‘সিমপ্যাথি’ পাওয়ার জন্য করছে! এটা একটা বড় প্রশ্ন কিন্তু। এ ছাড়া সবকিছু অনলাইনেই শেয়ার করার ফলে মানুষের মনের ভেতরে যে একাকিত্ব, সেটা প্রকাশ পাচ্ছে না। যার ফলে হয়তো অনেকে অনেক ধরনের পদক্ষেপ নেয়, যা হানিকারক হয়। অনেকেই আবার বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয় মানুষ কী ভাববে এটা ভেবে। আমার চরিত্রটাও এ রকম।
গল্প প্রসঙ্গে নির্মাতা ভিকি জাহেদ বলেন, ‘নাটকটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। এর গল্প ডিপ্রেশন নিয়ে। গল্পে দুজন মানুষ প্রেম করে অনলাইনে, কিন্তু তারা দেখা করে না। তাদের দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। মেসেজের মাধ্যমে তারা প্রেমটা চালিয়ে যায়। অনেকবার পরিকল্পনা করেও তারা দেখা করতে পারে না। তাদের একে অপরের সঙ্গে দেখা করার শক্তি বা সাহস নেই। অনলাইননির্ভর হওয়ায় ডিপ্রেশন তাদের গ্রাস করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানে একটা মেসেজ আছে। আমাদের সমাজে ডিপ্রেশন বেড়ে যাচ্ছে। এখনকার ছেলেমেয়েদের মধ্যে এটা অনেক দেখা যায়। এই জায়গা থেকে এটা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে ছিল। প্রথমে নাটকটির নাম ছিল ‘ডেথ অ্যাঞ্জেল’। সেটা পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘শব্দপ্রেম’।
নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন রোজী সিদ্দিকী, এ কে আজাদ সেতু। কে এস ফিল্মের ব্যানারে নাটকটির চিত্রনাট্যও ভিকি জাহেদের।