আবেদনের দুই বছর পর বাণিজ্যিক সংগঠনের নিবন্ধন পেলো মুঠোফোন উৎপাদকদের সংগঠন মোবাইল ফোন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইওবি)। দেশে মোবাইল ফোন উৎপাদনে বিটিআরসি নিবন্ধিত ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১১টি মোবাইল উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের সদস্যতার মধ্য দিয়ে সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মপ্রকাশ করলো সংগঠনটি। তবে এখনো সংগঠনের সদস্যপদ নেয়নি দেশের প্রথম মোবাইল উৎপাদক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন এবং সবার শেষে উৎপাদনে যাওয়া আরএফএল। সদস্য হয়নি চীনা ব্র্যান্ড শাওমিও। উৎপাদন শুরু না করায় সদস্যপদের আবেদন করেনি ওকে মোবাইল।
অবশ্য নতুন বাণিজ্য সংগঠন আইন ২০২২ এর ২১ ধারা অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোবাইল ফোন উৎপাদন শুরু করলে এই বাণিজ্য সংগঠনের সদস্য হতে হবে। এই আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে গত বছরের ১৩ এপ্রিল।
এই আইনের অধীনেই এরই মধ্যে সদ্যস্য হয়েছে ১১টি মোবাইল ফোন উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যদের মধ্যে রয়েছে- ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স (স্যামসাং) , এডিসন ইন্ডাস্ট্রিজ (সিম্ফনি), কার্লকেয়ার টেকনোলজি (আইটেল, টেকনো), ইউনিয়ন টেকপার্ক (নোকিয়া), গ্রামীন ডিস্ট্রিবিউশন (লাভা), লিনেক্স ইলেকট্রনিক্স (লিনেক্স, বেঙ্গল), বেনলি (অপ্পো, রিয়েলমি), বেস্ট টাইকুন (ভিভো), বাংলাট্রনিক্স, আলামিন ব্রাদার্স (ফাইভ স্টার) এবং মাইসেল।

সূত্রমতে, গত ১১ জানুয়ারি বছরের দ্বিতীয় বাণিজ্যিক সংগঠন হিসেবে নিবন্ধিত হয় এমআইওবি। তবে রবিবার (২৯ জানুয়ারি ২০২৩) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে লাইসেন্স হস্তান্তর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শী।
লাইসেন্স গ্রহণ করেন নতুন গঠনের সভাপতি ও ফেয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান রুহুল আলম আল মাহবুব, নতু সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও এডিসন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শাহিদ ও সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনের বাজার বছরে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার। দেশের চাহিদার প্রায় শতভাগ মোবাইল হ্যান্ডসেট এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে। ২০১৭ সালে দেশে সরকারের প্রণোদনায় প্রথম মোবাইল কারখানা স্থাপিত হয়। এরপর স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রায় সব প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড তাদের কারখানা স্থাপন করে। এরপর ধীরে ধীরে কমতে থাকে আমদানী। ফলে ক্রমেই ফিকে হতে থাকে মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমপিআইএ)। এসময় ওই সংগঠনের নেতারাই গঠন করেন উৎপাদক সংগঠন। আগের কমিটির সদস্যরাই রয়েছেন নতুন নেতৃত্বে। তবে সংঘবিধি অনুযায়ী, নির্বাচনের মাধ্যমে গঠন করা হবে পরবর্তী নেতৃত্ব।
নতুন সংগঠনের মাধ্যমে মুঠোফোন উৎপাদকেরা এক প্ল্যাটফর্মে কাজ করার এবং সেকটরটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পথ আরো সুগম হলো বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।