গ্রামীণফোন ও রবি’র বকেয়া আদায় নিষ্পত্তি ও গ্রাহক ভোগান্তি নিরসনে সংসদে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে বিদ্যমান সমস্যার সমাধানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
সোমবার দুপুরে চিঠিটি পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ।
চিঠিতে তিনি বলেন, গ্রামীণফোন ও রবির কাছে বিটিআরসি’র পাওনা আদায়ে অপারেটর দুটির ৩০% ও রবির ১৫% ব্যান্ডউইথ কম সরবরাহের জন্য আইআইজি অপারেটরদের নির্দেশনায় অপারেটররা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়ে উল্টো গ্রাহকরা ক্ষতিগ্রস্ত ও হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়।
দাবি করা হয়েছে, এই শাস্তির ফলে প্রকারান্তরে অপারেটররা লাভবান হচ্ছে। কারণ আইআইজি অপারেটরদের বিল কম দিতে হচ্ছে। বর্তমান সরকার যে ডিজিটাল দেশ গড়তে যাচ্ছে তার অন্যতম মাধ্যম ইন্টারনেট।
চিঠিতে মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থা গ্রাহকদের অধিকার রক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করার কথা। অথচ গ্রাহকদের প্রদেয় অর্থই আদায় করার জন্যই যে ব্যবস্থা; তা রক্ষক হয়ে ভক্ষক হওয়ার মত। বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি ৭৫ লক্ষ। এর মধ্যে ৯০% গ্রাহকই এ দুই অপারেটরের।
তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত দাবী ও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় বর্তমানে গৃহীত ব্যবস্থায় আদায় করা সম্ভব নয়। যে কোন সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই অতি উত্তম। তার জন্য প্রয়োজনে তৃতীয় পক্ষের সহযোগিতা (আরবিট্রেশন) গ্রহণ করা যেতে পারে।
চিঠিতে আরো বলা হয়, ১৯৯৭ সালে অপারেটরদের লাইসেন্স প্রদানের সময় বিটিআরসি আইনে ও লাইসেন্সের শর্তের মধ্যে বিষয়টি থাকলেও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন আইন ২০০১ উঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এ ধরনের সংকট নিরসনে আরবিট্রেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।
চিঠির শেষে মহিউদ্দিন বলেন, জনস্বার্থে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য মহান সংসদে বিষয়টি নিয়ে আপনার মূল্যবান মতামত প্রকাশ করে গ্রাহক অধিকার রক্ষা করে রাষ্ট্রের পাওনা অর্থ আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণের দিকনির্দেশনা মহান সংসদ থেকে আমরা আশা করি।