আগামী বছর তথা ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের প্রতি ইঞ্চি জমিই উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের অধীনে আসবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেছেন, এক সময় টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগ পর্যাপ্ত ছিল না। আমরা সে বিষয়টি সমাধান করেছি। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের এমন কোন জায়গা থাকবে না যেখানে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে না।
মন্ত্রী বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা পাবলিক হলে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোস্যাইটি নেত্রকোণা জেলা ইউনিট আয়োজিত আকস্মিক বন্যা ২০২২ এর ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে জরুরী খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
এসময় ‘নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতা দিতে না পারলে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে না’ মন্তব্য করে সবাইকে সফট স্কিল অর্জনের প্রতি আহ্বান জানান ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের এই অগ্রদূত।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের জীবনযাত্রা পাল্টে গেছে। যে গ্রামে একদিন হাইস্কুল পড়তে পারিনি সে গ্রাম থেকে আজ শত শত শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করছে।
মন্ত্রী হাওরে বন্যাকবলিতদের জন্য গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, হাওরের সাম্প্রতিক বন্যাকবলিতদের জন্য আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে মদন. মোহসগঞ্জ, খালিয়াজুরী ও সুনামগঞ্জের শাল্লায় খাদ্য সহায়তা টিন ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তিনি বন্যার্তদের জন্য রেডক্রিসেন্টের ভূমিকার প্রশংসা করেন। মন্ত্রী এ জন্য রেডক্রিসেন্ট স্থানীয় ইউনিটকে সাধুবাদ জানান।
‘হাওরে এখন আউট সোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নেত্রকোণার পাশে ধর্মপাশা উপজেলার আহমেদপুর গ্রাম থেকে এখন ৬০ জন প্রোগ্রামার সফটওয়্যার তৈরির কাজ করছে।
অনুষ্ঠানে ৬০০ পরিবারের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। মন্ত্রী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে রেডক্রিসেন্ট জেলা ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: মনির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ফকরুজ্জামান প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
এর আগে মন্ত্রী ঢাকা থেকে নেত্রকোণা আসার পথে ময়মনসিংহ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি আইএসপি’র চাইতেও কমমূল্যে আমরা ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি, যেন গ্রাহকরা সহজেই বিটিসিএল’র জিপন সার্ভিস সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। যে কারো সাথে প্রতিযোগিতা করে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে সংযোগ-সেবা দেওয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রতিটি অফিসের সক্ষমতা অনুযায়ী সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন সংশ্লিষ্টদের।