শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকম লিমিটেডের এমডি নাজমুল ইসলামসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাকিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ। আগামী ২৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে হবে তাদের।
সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত নোটিশ তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, দুদক গত মাসের শেষ দিকে এই অভিযোগটির অনুসন্ধান শুরু করে। এরইমধ্যে গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির কাছে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চাওয়া হলে তারা সেগুলো দুদকে জমা দিয়েছে। নথিপত্রগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সম্প্রতি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের একটি অভিযোগ পাঠান দুদকে। অভিযোগগুলো হল, অনিয়মের মাধ্যমে শ্রমিক-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধকালে অবৈধভাবে আইনজীবীর ফি ও অন্যান্য ফির নামে ছয় শতাংশ অর্থ কর্তন করা হয়েছে।
শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলে বরাদ্দ করা সুদসহ ৪৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা বিতরণ না করে আত্মসাৎ করা হয়। ওই কোম্পানি থেকে দুই কোটি ৯৭৭ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের উদ্দেশে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্টে স্থানান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়।
গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই অভিযোগ বিষয়ে তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে নির্ভরযোগ একটি সূত্রে জানা গেছে।