আনুষ্ঠানিকভবে ডিজিটাল সার্ভিসের মার্কেটপ্লেস ‘অ্যাপলিংক’ চালু করলো বাংলালিংক। রবিবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে অ্যাপটির উদ্বোধন করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যভস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ, বাংলালিংক সিইও এরিক অস,চিফ কমার্সিয়াল অফিসার উপাঙ্গ দত্ত, চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান প্রমুখ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে অ্যাপলিংক দেশীয় প্লাটফর্ম হওয়ায় এটি দেশের অর্থনীতিতেও ব্যাপক অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। এই অবস্থানকে আরো এগিয়ে নিতে আগামীতে বাংলালিংক-কে একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প পূরণের পর কীভাবে এই বাংলাদেশকে আমরা আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশে পরিণত করতে পারি সেই প্রশ্নটি সামনে এসেছে; তখন কানেক্টিং ডেলেলপার অ্যান্ড ইউজার্স শিরোনামে অ্যাপলিংক প্লাটফর্ম চালু করলো বাংলালিংক। এজন্য আমি বাংলালিংক সিইও-কে ধন্যবাদ জানাই। কেননা (বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে) সে প্রতিনিয়ত আমাকে ব্যস্ত রাখছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে হেলথ হাব উদ্বোধন করলাম। খুব অল্পসময়ের ব্যবধানে আমরা বাংলালিংকের বেশ কয়েকটি সল্যুশন উদ্বোধন করেছি।
এই ধরনের উদ্যোগগুলো দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় কমানোর পাশাপাশি দেশের তরুণদের আয় হাতে পাওয়ার জটিলতা লাঘব করে বলে মন্তব্য করেন পলক। তিনি আরো বলেন, অ্যাপলিংক দেশীয় প্লাটফর্ম হওয়ায় এর মাধ্যমে ডেভলাপার ও ব্যবহারকারীরা সহজেই আমাদের নিজস্ব ওয়ালেটে লেনদেন করতে পারবে।
টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন অবলুপ্তি পথে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এখন মোবাইল ফোন ইন্টারনেট ফোনে রূপান্তরিত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এজন্য আমাদের আগামীকে নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া, হোয়াটসঅ্যাপের মতো কমিউনিকেশন অ্যাপ এবং অত্যাধুনিক স্ট্রিমিং প্লাটফর্ম দরকার।
এসব চাহিদার কথা তুলে ধরে বাংলালিংককে আপওয়ার্ক, ফাইবার বা গুরুর মতো মাল্টিন্যাশনাল মার্কেট প্লেস তৈরি করার পরামর্শ দেন তিনি। এজন্য স্টার্টআপ বাংলাদেশ এর সঙ্গে বৈঠক করে নিজেদের সাড়ে ৩কোটি গ্রাহকের প্লাটফর্ম কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় অ্যাপলিংক দেশে তরুণ আইটি পেশাজীবীদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা রখবে বলে মন্তব্য করেন বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, স্থানীয় ডেভেলপাররা অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করার পর অ্যাপলিংক প্ল্যাটফর্মে এসএমএস, ইউএসএসডি ও বিলিং সংযোগের মতো প্রয়োজনীয় সব টুলস এবং এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) পাবেন। এই প্ল্যাটফর্মে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খেলাধুলা, কৃষি, জনসেবা, বিনোদন ও ব্যবসাসহ বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সার্ভিস পাবলিশ ও আয় করা যাবে। আর ওয়েবের এই ঠিকানা থেকে মোবাইল এয়ারটাইম ব্যালেন্স দিয়ে নিজেদের পছন্দের সেবাগুলো ব্যবহার করতে পারবেন বাংলালিংক গ্রাহকরা।