না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন বিটিআরসি কমিশনার এ কে এম শহীদুজ্জামান। রবিবার রাত পৌনে নয়টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি সহধর্মিনী এবং এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় মরহুমকে তার মোহাম্মাদপুরের ইকবাল রোডের বাসায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, সন্ধ্যায় হঠাৎ বুকে ব্যাথা অনুভব করেন জনাব শহীদুজ্জামান। পিজিতে নেয়াও হলে সেখানে সিসিইউ-২তে চিকিৎসাকালীন সময়েই তিনি ইন্তেকাল করেন। আগামীকাল সকাল ১১টার দিকে বিটিআরসি প্রধান কার্যালয়ের সামনে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বিটিআরসি পরিবারের পক্ষ থেকে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়েছে।
তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছে ডিজিবাংলা পরিবার।
গতবছর ১১ জানুয়ারি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নতুন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান প্রকৌশলী এ কে এম শহীদুজ্জামান।
এর আগে ২০০২ সালে বিটিআরসি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০১৯ সালে অবসর নেওয়া পর্যন্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এই কর্মবীর। তিনি ২০০২ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত উপ-পরিচালক, ২০০৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পরিচালক এবং ২০১০ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মহাপরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিটিআরসিতে যোগদানের আগে, তিনি ১৯৯২ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ডিফারেনশিয়াল গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ১০ বছর বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (BIWTA) এ সহকারী প্রকৌশলী (বৈদ্যুতিক) হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এছাড়াও বিটিআরসি অফিসার্স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) ছাত্রলীগ এলামনাই এসোসিয়েশন (ডুয়েকা) সভাপতি হিসেবেও সুপরিচিত প্রকৌশলী এ কে এম শহীদুজ্জামান।
১৯৬০ সালের ১৩ নভেম্বর বরিশাল, ঝালকাঠির গাভা রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের কাঁচাবালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।