‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে’ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রা ত্বরান্বিত করতে ও দেশের সব গ্রাহক যেন পঞ্চম প্রজন্মের (ফাইভজি) মোবাইল প্রযুক্তির অত্যাধুনিক সুবিধা উপভোগ করতে পারে সেজন্য ঐতিহাসিক এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ব মোবাইল অপারেটর টেলিটক বাংলাদেশ।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর রেডিসন হোটেলে ‘নিউ ইরা উইথ ৫ জি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে এ সেবা চালু করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পরীক্ষামূলক ফাইভজি সেবা উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি-বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। উন্নত দেশের চেয়ে পিছিয়ে না থাকতেই এই উদ্যোগ বলে জানান বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিওবার্তার মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান। এসময় শিগগিরই বাণিজ্যিকভাবে দেশে ফাইভ-জি চালু করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আগামী মার্চ মাসে মালয়েশিয়া ফাইভ-জি চালু করলেও বাংলাদেশ ২০১৮ সালেই এই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো বলে জানান ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ্, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমান, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ও টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. সাহাব উদ্দিন এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া হুয়াওয়ের পক্ষে হুয়াওয়ের আঞ্চলিক প্রধান সিমন লিন ও হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝাং ঝেংজুন ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ঐতিহাসিক এই অভিযাত্রায়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, টেলিটকের মাধ্যমে ঢাকা শহরের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২, বাংলাদেশ সচিবালয়, মানিক মিয়া এভিনিউ (সংসদ ভবন এলাকা) এবং ঢাকার বাইরে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ও টুঙ্গিপাড়া ফাইভ-জি কাভারেজের আওতায় আসছে। পরে জেলা পর্যায়ে ফাইভজি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করা হবে। আগামী বছরের মধ্যে টেলিটকের ২০০টি সাইটে ফাইভজি নিশ্চিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফাইভজি সাপোর্টেড স্মার্টফোনের মাধ্যমে ফাইভজি সেবা ব্যবহার করা যাবে। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের সিম পরিবর্তন করতে হবে না।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা ফাইভজি প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেট গতি, অতি স্বল্প ল্যাটেন্সি, ভার্চুয়াল বা অগমেন্টেড রিয়েলিটি সার্ভিসগুলোর ওপর অভিজ্ঞতা নেন। ফোরজি সেবার তুলনায় ফাইভজির গতি প্রায় ২০ গুণ বাড়বে এবং ল্যাটেন্সি ১০ ভাগের ১ ভাগে কমে আসবে। ফাইভজি সেবা দেওয়ার জন্য টেলিটক বিটিআরসি থেকে ৬০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে।