বর্তমান করোনা মহামারী ও লকডাউন এ সকল কার্যক্রম সচল ও স্বাভাবিক রাখতে ব্যবহার করা হচ্ছে টেলি যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে। তাই এ মাধ্যম যাতে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যবহার উপযোগী এবং সহজ প্রক্রিয়ায় করা যায় তার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শের জন্য জাতীয় কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনা মহামারীতে সকল কার্যক্রম শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা বাণিজ্য, সরকারি-বেসরকারি, অফিস-আদালত, এমনকি ব্যক্তিগত দৈনন্দিন কাজের ক্ষেত্রেও একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি। কিন্তু দুঃখের বিষয় গত এক বছরেও একহাতে একটি কেন্দ্রীয় বা জাতীয়ভাবে কোন পরামর্শ ও দিকনির্দেশনামূলক কমিটি গঠন হয়নি। ফলে বাড়ছে প্রযুক্তিগত অসহযোগিতা এবং জটিলতা। করোনার পরীক্ষা ফলাফল কিংবা টিকাদান, সরকারি সুরক্ষা অ্যাপস এর জটিলতা সর্বশেষ পুলিশের ইমারজেন্সি পাস প্রাপ্তিতে জটিলতা প্রমাণ করে জাতীয়ভাবে প্রযুক্তিগত পরামর্শক কমিটি কতটা প্রয়োজন ছিল। একেক প্রতিষ্ঠান একেক ভাবে তারা নিজেদের চাহিদা ও ইচ্ছা অনুযায়ী প্রযুক্তিগত সার্ভার ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপস এমনকি পেজ তৈরি করছে যার অসম্পূর্ণতা থাকায় নাগরিক ভোগান্তি কমার বদলে বেড়েই চলেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ ছিল একজন মন্ত্রী হতে পারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী বা প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বা একজন সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে ব্যবহারকারীদের প্রতিনিধি, সাংবাদিক প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, প্রযুক্তিবিদ, সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা। এই জাতীয় কমিটি কাজ হবে বর্তমানে ও ভবিষ্যতে জনস্বার্থে ব্যবহৃত প্রযুক্তিগত সহায়তা পরামর্শ ও সহযোগিতা প্রদান করা। যার ফলে রাষ্ট্র যেমন নিরাপদ থাকবে জনগণ ও সঠিক অপর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত ব্যবহার করতে পারবে। সাশ্রয় হবে প্রচুর পরিমাণ অর্থের। তাই আমরা সরকারের কাছে সবিনয় অনুরোধ করছি দ্রুত একটি জাতীয় কমিটি গঠন করার।