দেশে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা। সেই অনুযায়ী মোবাইল অপারেটরদের তরঙ্গ বৃদ্ধি না পাওয়ায় হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে মোবাইল ব্যবহারকারীদের।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসির তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে ১৩ লাখ ৩০ হাজার মোবাইল ব্যবহারকারীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে ১ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম। যা পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল, মিয়ানমারের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী দেশে চার মোবাইল অপারেটরের গ্রাহক রয়েছে ১৭ কোটি ১৮ লাখ ৫৪ হাজার। এতো পরিমান ব্যবহারকারীর জন্য বিভিন্ন ব্যান্ডের স্পেকট্রাম বরাদ্দ রয়েছে ১২৯ দশমিক ২ মেগাহার্টজ।
গ্রামীণফোনের কাছে ৯০০, ১৮০০ ও ২১০০ ব্যান্ড মিলিয়ে ৩৭ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম আছে। রবির আছে ৩৬ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ , বাংলালিংকের ৩০ দশমিক ৬ মেগাহার্টজ এবং টেলিটকের ২৫ দশমিক ২০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম রয়েছে।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, গ্রামীণফোনের ২১ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি গ্রাহক ব্যবহার করেন ১ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম, রবি অজিয়াটা লিমিটেডের ১৪ লাখের বেশি গ্রাহক ব্যবহার করেন ১ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিমিটেডের ১১ লাখ ৬১ হাজারের বেশি গ্রাহক ব্যবহার করেন ১ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের দুই লাখ ১৫ হাজারের বেশি গ্রাহক ব্যবহার করেন ১ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম।
মোবাইল অপারেটররা স্পেকট্রামের পরিমাণ বৃদ্ধি করে গ্রাহকের হয়রানি কিছুটা লাঘব হবে বলে মনে করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, ‘সেবার মানের ক্ষেত্রে খুব সহজ হিসাব। কারো ৮ কোটি গ্রাহক, স্পেকট্রাম আছে মাত্র ৩৭ মেগাহার্টজ। ৩৭ মেগাহার্টজ দিয়ে ৮ কোটি গ্রাহককে সেবা দেওয়া কঠিন। আমাদের স্পেকট্রাম নিলামের মূল উদ্দেশ্য হলো যাতে তারা সেবার মান বাড়াতে পারে। আমাদের দুইটি স্লটে নিলাম হবে। আমরা এক্সপেক্ট করবো যে,যাদের গ্রাহক বেশি তারা বেশি স্পেকট্রাম নিয়ে গ্রাহকের সুবিধা করবে।’
তরঙ্গ সমস্যা নিরসনে ৮ মার্চ চার মোবাইল অপারেটরের অংশগ্রহণে নতুন স্পেকট্রাম বরাদ্দের জন্য নিলামের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি।
রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল আয়োজিত অনুষ্ঠানে দুই ব্যান্ডের অব্যবহৃত স্পেকট্রামের নিলাম হবে। এতে গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক অংশ নিতে যাচ্ছে এমনটি জানিয়েছে বিটিআরসি।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা আরও জানিয়েছে, পাঁচটি ব্লকে ১৮০০ ব্যান্ডে ৭ দশমিক ৪ মেগাহার্টজ এবং চারটি ব্লকে ২১০০ ব্যান্ডে ২০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম নিলামে উঠবে।
২০১৮ সালের ফ্লোরপ্রাইজ অনুযায়ী এবারেও স্পেকট্রামের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে ১৮০০ ব্যান্ডের স্পেকট্রামের ফ্লোরপ্রাইজ ছিল ৩১ মিলিয়ন ডলার এবং ২১০০ ব্যান্ডের স্পেকট্রামের ফ্লোরপ্রাইজ ছিল ২৭ মিলিয়ন ডলার।
ডিজিটেক/আরএইচএস