টেলিকম অপারেটর রবি ও বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে কনটেন্ট প্রোভাইডারদের মাধ্যমে সব ধরনের টেলিকম ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস (টিভ্যাস) বন্ধ রাখার নির্দেশনা সাময়িক প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিটিআরসি। তবে এ ক্ষেত্রে ‘ওটিপি’ বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
গ্রাহকের অজান্তে সেবা চালু করে টাকা কেটে নেওয়ার অভিযোগে সোমবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
তবে দুই অপারেটরের সঙ্গে বৈঠকের পর মঙ্গলবার এই নির্দেশনা ফিরিয়ে নেয়া হয়।
বৈঠকে উভয় অপারেটরই নিজেদের ভুল-ক্রটি স্বীকার করে সমাধানের নিশ্চয়তা দেয়ায় আগামী কমিশন বৈঠক পর্যন্ত তাদের সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। এর মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধান করলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে বিটিআরসিতে এই বৈঠকে অংশ নেন বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তাইমুর রহমান এবং রবি’র চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেসয়ার্স শাহেদ আলম।
বৈঠক শেষে তিনি জানিয়েছে, টিভ্যাস সেবা বিষয়ে বিটিআরসি এবং আমাদের মধ্য একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিলো। বৈঠকে তা সুরাহা হয়েছে। একই সঙ্গে মহামারির করণে বিদ্যমান সীমাবদ্ধতা দূর করতে প্রযুক্তি ব্যবহারে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের সময় সীমা আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
দেশের ৪ অপারেটরের মাধ্যমে নিউজ অ্যালার্টসহ গান, ভিডিও, ওয়েলকাম টিউন ইত্যাদি সেবা দিয়ে থাকে টিভ্যাস প্রতিষ্ঠানগুলো। এখন থেকে এই সেবা দিতে অপারেটরগুলো বাধ্য থাকবে না বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর আগে গত ১২ নভেম্বর গ্রাহকের অজান্তে সেবা চালু করে টাকা কেটে নেওয়ার বিষয়ে টেলিকম অপারেটর রবি ও বাংলালিংকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে নিবন্ধিত টিভ্যাস অপারেটর রয়েছে ১৮২টি।